এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া:

ভারীবর্ষণে মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে ভয়াবহ বন্যায় নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা। এতে উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন এবং চকরিয়া পৌরসভার অন্তত চার লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। টিউবওয়েল ও বসতবাড়ির রান্নার চুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট পড়েছে পরিবারগুলোতে।

জেলা প্রশাসন থেকে চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৭২ টন জিআর চাল। সেই চাল সমবণ্টন করে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানিবন্দি পরিবারের মাঝে জিআর চাল বিতরণ শুরু হয়েছে।

এদিকে দুর্গত এলাকার পানিবন্দী পরিবারের জন্য লঙ্গরখানা চালু করেছেন জনপ্রতিনিধিরা। তদমধ্যে চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম ৫ হাজার, চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদী ৩ হাজার, চকরিয়া উপজেলা চকরিয়া পৌরসভার আলমগীর চৌধুরী ৭ হাজার পরিবারের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করেছেন। পাশাপাশি সুরাজপুর-মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হকসহ জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে প্রতিটি ইউনিয়নে বন্যাকবলিত মানুষের ঘরে শুকনো খাবার পৌছে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ।

উপজেলার কাকারা, সুরাজপুর-মানিকপুর, বমুবিলছড়ি, লক্ষ্যারচর, ফাঁসিয়াখালী, কৈয়ারবিল, হারবাং, বরইতলী, ডুলাহাজারা, খুটাখালী, চিরিংগা, সাহারবিল, পূর্ব বড় ভেওলা, বিএমচর, কোনাখালী, ঢেমুশিয়া, পশ্চিম বড় ভেওলা, বদরখালী এবং চকরিয়া পৌরসভার বেশিরভাগ গ্রাম কোমর সমান পানিতে তলিয়ে গেছে।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকা এবং মাতামুহুরী নদীতে নেমে আসা উজানের পানিতে উপজেলার সবকটি ইউনিয়নে বন্যা দেখা দিয়েছে। গতকাল পর্যন্ত জেলা প্রশাসন থেকে প্রতিটিতে চার টন করে ১৮টি ইউনিয়নে ৭২টন এবং চকরিয়া পৌরসভার জন্য ১০ টন জিআর চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া গতকাল উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রতিটি ইউনিয়নে বানবাসি লোকজনের মাঝে শুকনা চিড়া, খেজুর, এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ গুড় বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিতরণ করা হয়েছে।