মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া:
চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারায় কিশোর গ্যাংএর দাপট বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে নিরাপত্তাহীনতায় দিনপাপন করছে সাধারণ জনসাধারণ। সিনেমা স্টাইলে গুপ্ত হামলা, জিম্মি, চুরি, মাদকের ঘটনা বাড়ছে দিনদিন। এমনই অভিযোগ উঠেছে পশ্চিম মাইজ পাড়াসহ কয়েকটি এলাকায়।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, উঠতি বয়সী ৬-৮ জন যুবকের একটি চক্র ডুলাহাজারা পশ্চিম মাইজ পাড়াবাসীর অন্তর বিষিয়ে তুলেছে। সেখানে জড়িত রয়েছে সম্ভান্ত্র পরিবারের ছেলে পুলেও। বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িয়ে তারা স্থানীয়দের ঘুম হারাম দিচ্ছে। এই কিশোর গ্যাংএর কবল থেকে পরিত্রাণ চায় ওখানকার জনসাধারণ।
পশ্চিম মাইজপাড়ায় বসবাসরত আব্দুর রহমানের ছেলে নাজের হোছাইন জানান, তার বসতবাড়ীতে পরপর দু’দফা চুরির ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গত সোমবার রাতে নিজ বসতবাড়ীর জানালা দিয়ে বিশেষ কায়দায় দু’টি মুল্যবান এন্ড্রয়েড সেট নিয়ে যায়। এতে স্থানীয় কিশোর গ্যাং জড়িত থাকার আলামত পেয়েছেন বলেও তিনি জানান।
ডুলাহাজারা ইসলামিয়া মাদ্রাসার এক শিক্ষক জানান, বিগত ২-৩ মাস আগে মাদ্রাসার হিসাব নিকাশ সম্পন্ন করতে অফিসিয়াল ল্যাপটপটি হিসেব রক্ষকের বসতবাড়ী পশ্চিম মাইজপাড়ায় ছিল। নিকটস্থ কয়েকজন ছেলের সহযোগিতায় এটি রাতে সুকৌশলে নিয়ে যায়। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় ল্যাপটপটি উদ্ধার করা হয়। অপর আরেকটি ঘটনায়, স্থানীয় এক স্কুল ছাত্রকে জিম্মি পূর্বক মুক্তিপণ দাবীর চেষ্টা চালানোর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনার এখনো কোন অভিযোগ বা বিস্তারিত তথ্য জানা না গেলেও, এটি পারিবারিক বিষয় বলে জানায় অভিযুক্ত পক্ষের লোকজন।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান স্থানীয় সাইফুল এহসান চৌধুরী বলেন, ব্যবসা বনিজ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকায় বিষয়গুলো আমি কিছুই জানতাম না। আমি বেঁচে থাকতে আমার এলাকায় এতকিছু ঘটনা কখনো মেনে নেয়া যাবে না। জড়িতদের সনাক্তের চেষ্টা চলছে, চেয়ারম্যানসহ যাচাই করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন জানান, এরূপ কয়েকটি বিষয় আমি জানি। এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। অপরাধের সাথে যে গ্যাংই জড়িত হোক না কেন খবর পেলে আমি কাউকে ছাড় দিচ্ছি না।