এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া:
সোমবার ও মঙ্গলবার দুই দিনের টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানি মাতামুহুরী নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে দুইকূল উপচিয়ে গ্রামীন এলাকায় প্রবেশ করতে শুরু করেছে ঢলের পানি। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে রাতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। টানা বৃষ্টির কারনে পাহাড় ধসের আশঙ্কাও করা হচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে।

এই রিপোর্ট লেখার সময় মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে মাতামুহুরী নদীর পানি ১৫-২০টি গ্রামে পানি প্রবেশ করছে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। তবে এখনো কোন বাড়িতে পানি উঠার খবর পাওয়া যায়নি। এভাবে টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে পাহাড়ি পানি নেমে আসতে থাকলে মধ্যরাতের পর গ্রামীন সড়কগুলো পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়বে বেশ কিছূ গ্রামের লোক।

লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কাইছার বলেন, আমার এলাকায় এখনো বন্যার পানি প্রবেশ করে করেনি। রাতে মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মক্কি ইকবাল বলেন, মাতামুহুরী নদীর পানি ৫টি ওয়ার্ডের কিছুকিছু এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আরো এলাকা প্লাবিত হতে পারে।

চিরিংগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জসীম উদ্দিন বলেন, ইতোমধ্যে আমার এলাকায় মাতামুহুরী নদীর পানি ডুকতে শুরু করেছে। যেহেতু আমার এলাকায় মৎস্য ঘের বেশি। যদি রাতে ঢলের পািন পুরোদমে ডুকতে শুরু করে তবে মৎস্য ঘেরের ব্যপাক ক্ষতি হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, টানা বৃষ্টি ও মাতামুহুরীর নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে খোঁজখবর নিচ্ছি। এছাড়াও পাহাড়ে বসবাসরতদের সরিয়ে আনার জন্যও কাজ করছি।