শাহেদুল ইসলাম মনির, কুতুবদিয়া:
কুতুবদিয়ায় সর্দি-কাশি-জ্বরে আক্রান্ত রোগির সংখ্যা বাড়ছে। ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন এলাকায়। প্রায় প্রতিটি ঘরেই এ ধরণের রোগির খোঁজ মিলছে। তাদের মধ্যে জ্বর নিয়ে ভীতি থাকলেও করোনা পরীক্ষায় তেমন আগ্রহ নেই। অনেকে প্রয়োজনও মনে করে না। তাদের অবাধ চলাফেরা হাটবাজারে।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সরেজমিনখোঁজখবর নিয়ে ও হাসপাতাল ঘুরে এমন তথ্য মিলেছে।

জানা গেল- উপজেলার আলি আকবর ডেইল, কৈয়ারবিল, দক্ষিণ ধুরুং, লেমশীখালী, উত্তর ধুরুং, বড়ঘোপ ইউনিয়নে অধিক হারে বেড়েছে জ্বরের রোগী। তাদের অনেকে করোনা পরীক্ষা করছে না। বরং উল্টোভাব।

করোনা পরীক্ষা না করার কারণ হিসেবে তারা বলছে, বর্তমান ঋতুতে সর্দি জ্বর একটু বেশি হয়। এটা স্বাভাবিক। ক’দিন গেলেই ঠিক হয়ে যাবে!

তারা মনে করে, পরীক্ষা করলেই তো ‘করোনা পজেটিভ’ হওয়ার সম্ভাবনা। এই ভেবে পরীক্ষা করছে না জ্বর-সর্দি-কাশিতে আক্রান্তরা।

তবে এসব লোক বাজারসহ বিভিন্ন এলাকাতে ঘোরাঘুরি করছে। তাদের অবাধ বিচরণে স্থানীয়দের মাঝে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

উপজেলার ঔষধের দোকানদার তমিজ উদ্দিন জানান, গত কয়েক দিনে সর্দি, জ্বর, কাশি, গলা ব্যথার ওষুধ বিক্রি হয়েছে স্বাভাবিকের চাইতে কয়েক গুন বেশি। এসব রোগের ওষুধ সরবরাহে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।

কুতুবদিয়া হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ মামুন বলেন, গত কয়েকদিনে যে পরিমান রোগী দেখেছি তার মধ্যে ৮০% মানুষ সর্দি-কাশি জ্বরে আক্রান্ত। করোনা টেষ্ট করতে বললে তাদের মধ্যে অনিহা ভাব। এভাবে চলতে থাকলে ভয়াবহ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছেন এই চিকিৎক।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, উপজেলায় এখন পর্যন্ত করোনা রোগীর সংখ্যা ১৪৫ জন।

উপজেলায় র‍্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট ও রিয়েল টাইম পলিমারেজ চেইন প্রতিক্রিয়ায় নমুনা সংগ্রহ করেছে মোট ১,২৩৯ জনের ।

তিনি আরও জানান, কুতুবদিয়া উপজেলায় চীনের সিনোফার্ম টিকা এসেছিল ১,৪০০ টি। তার মধ্যে টিকা গ্রহন করেছেন ৭৮০ টি।অবশিষ্ট আছে ৬২০ টি।