অনলাইন ডেস্ক: মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে বিশ্বে ১৩৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৫তম। বাংলাদেশের পেছনে আছে শুধু আফগানিস্তান ও ভেনেজুয়েলা।

ইন্টারনেটের গতি নিয়ে মাসভিত্তিক চিত্র তুলে ধরা প্রতিষ্ঠান ওকলা’র জুন মাসের হিসাবে এ অবস্থা উঠে এসেছে। এতে দেখা যায়, বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটের ডাউনলোড গতি ১২ দশমিক ৪৮ এমবিপিএস। আপলোডের গতি ৭ দশমিক ৯৮ এমবিপিএস। ওকলার মতে, বাংলাদেশের অবস্থান জুন মাসে এক ধাপ পিছিয়েছে এবং ইন্টারনেটের গড় গতি সামান্য কমেছে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) হিসাবে, মে মাস শেষে দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ৭৫ লাখ। আর দেশে ব্রডব্যান্ডের গ্রাহকসংখ্যা ৯৮ লাখের কিছু বেশি।

ওকলার তথ্য অনুযায়ী, ১৯৩ এমবিপিএস ডাউনলোড গতি নিয়ে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি গতির ইন্টারনেট সংযুক্ত আরব-আমিরাতের। এরপরে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, কাতার, নরওয়ে ও সাইপ্রাস।

এ তালিকায় ভিয়েতনাম ৫৮, মালয়েশিয়া ৮৯, কম্বোডিয়া ৯১, নেপাল ১০৫, মিয়ানমার ১০৯, পাকিস্তান ১১৪, ভারত ১২২ এবং শ্রীলঙ্কা ১২৯তম অবস্থানে রয়েছে। তালিকায় সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা পাঁচ দেশ ভেনেজুয়েলা, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ে ও সুদান।

দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের কম গতির বিষয়টি গত মার্চে বিটিআরসির এক জরিপে উঠে আসে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় চালানো এ জরিপে দেখা যায়, ঢাকার গ্রাহকেরা ফোর-জিতে ৩ থেকে ৬ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট পাচ্ছেন। অথচ বিটিআরসির বেঁধে দেওয়া নিয়মে, গ্রাহকদের সর্বনিম্ন ৭ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট দিতে হবে।

জরিপে ২৩ জানুয়ারি থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পরীক্ষা চালানো হয়। এতে বিটিআরসি ২০১৮ সালের সেবার মান বেঁধে দিয়ে যে বিধিমালা জারি করেছিল, সে অনুযায়ী অপারেটরেরা গ্রাহকদের সেবা দিচ্ছে কি-না তা দেখা হয়।

ওকলার মতে, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতির দিক দিয়ে ১৮১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৮তম। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান গত মাসের চেয়ে দুই ধাপ পিছিয়েছে। দেশে ব্রডব্যান্ডে ডাউনলোডের গতি ৩৮ এমবিপিএসের কিছু বেশি এবং আপলোডের গতি ৩৭ এমবিপিএসের মতো।

ব্রডব্যান্ডে ২৬১ এমবিপিএস গতি নিয়ে সবার উপরে আছে মোনাকো। ৪ দশমিক ৪৯ এমবিপিএস গতি নিয়ে সবার নিচে অবস্থান তুর্কমিনিস্তান। এ তালিকায় ৫৮ এমবিপিএস গতি নিয়ে ভারতের অবস্থান ৭০তম। ১২ দশমিক ৭৭ এমবিপিএস গতি নিয়ে পাকিস্তান ১৬৪তম।

  • সমকাল