মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড়ের নারিচবুনিয়া এলাকার অসহায় নুরুল আলম ও রাশেদা বেগম দু’জনেই প্রতিবন্ধী। সারাদেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উৎসব উপলক্ষে অসহায়,দোস্ত ও গৃহহীন মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার। কিন্তু ভাগ্যে জুটেনি হতভাগা এ প্রতিবন্ধী পরিবারের কপালে মুজিববর্ষের ঘর। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের নজরেও পড়েনি তাদের এই পলিথিনের ঘরটি। এবিষয়ে বাইশারী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলম কোম্পানির থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন লিখিত একখানা আবেদন করতে । অসহায় এ প্রতিবন্ধী দম্পতির ভাগ্যের নির্মম পরিহার মুজিববর্ষের ঘর পাওয়ার কথা প্রথম ধাপে তারা কিন্তু দ্বিতীয় ধাপ চলে গেলে তৃতীয় ধাপেও বঞ্চিত হচ্ছে অসহায় পরিবারটি।

সরেজমিনে গেলে এই প্রতিবেদকের চোখে পড়ে প্রতিবন্ধী নুরুল আলম ও রাশেদা বেগমের পলিথিন দিয়ে করা এই ঘর। স্থানীয় মাষ্টার নাজিমুদ্দিন,ও রশিদ আহাম্মদ জানান তারা স্বামী স্ত্রী দু’জনের মধ্যে স্ত্রী শারিরীক প্রতিবন্ধী স্বামী মানসিক প্রতিবন্ধী। তার বুকে হাজারো আশা নিয়ে অনেকের ধারে ধারে গেলেও কোনো কাজ হয়নি। কারণ তারা জানেনা লেখা-পড়া, কি ভাবে কাগজে কলমে আবেদন করতে হয় এসব তাদের মাথায় নেই। এ প্রতিবন্ধী দম্পতি একখন্ড খাস জমিতে দীর্ঘ ১৭ বছর চলে তাদের সংসার জীবন। সংসারে এক ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। এলাকাবাসী ও আত্মীয়স্বজনের আর্থিক সহায়তায় খেয়ে না খেয়ে পলিথিনের এ কুঁড়ে ঘরে সংসার জীবন অতিক্রম করেছেন।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইমরান জানান বঙ্গবন্ধুর জন্মের শত বছর উপলক্ষে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাঁকজমকপূর্ণভাবে এ উৎসব উদযাপন করার কথা ছিল। তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সব আয়োজন সীমিত করা হয়েছে। এ উদযাপন চলবে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত। ২০২১ সালের ২৬ মার্চ উদযাপন করা হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষে সুবর্ণজয়ন্তীও। এলাকাবাসী নাইক্ষ্যংছড়ির নবাগত ইউএনও বেগম সালমা ফেরদৌসসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।