সিবিএন ডেস্ক:
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় মারা গেলেন ১৮ হাজার ৬৮৫ জন।

২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আরও কমেছে করোনা শনাক্ত নতুন রোগীর সংখ্যা। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ৬৯৭ জন।

ঈদের ছুটির মধ্যে দেশে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা কমে গেছে বিস্ময়করভাবে।

গতকাল (২১ জুলাই) নমুনা পরীক্ষা ২৫ হাজারের মতো হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে মাত্র ১১ হাজার ৪৮৬টি। আর তাতে শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ৬৯৭ জন। এদের নিয়ে দেশে করোনায় এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে শনাক্ত হলেন ১১ লাখ ৪০ হাজার ২০০ জন।

তবে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ১৯ শতাংশ। অর্থাৎ শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমলেও সংক্রমণের মাত্রা কমেনি, বরং ঊর্ধ্বমুখী।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আট হাজার ৫৬৬ জন। এদের নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে সুস্থ হয়ে উঠলেন নয় লাখ ৬৯ হাজার ৬১০ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ১৯ শতাংশ জানিয়ে অধিদফতর জানাচ্ছে, এখন পর্যন্ত দেশে রোগী শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক শূন্য চার শতাংশ আর মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ১০ হাজার ৮৯৯টি, আর পরীক্ষা হয়েছে ১১ হাজার ৪৮৬টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭৩ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭৪টি। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৫৪ লাখ ২০ হাজার ৪৮৪টি, আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৯ লাখ ৫৫ হাজার ৮৯০টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৮৭ জনের মধ্যে পুরুষ ১১৭ জন আর নারী ৭০ জন। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে ১২ হাজার ৮৭৬ জন পুরুষ আর পাঁচ হাজার ৮০৯ জন নারী মারা গেছেন বলে জানিয়েছে অধিদফতর।

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে আট জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ২৭ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৬৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৪৯ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২০ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে চার জন আর ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, ১৮৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৭৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ২৩ জন, রাজশাহী বিভাগের ১০ জন, খুলনা বিভাগের ৪৪ জন, বরিশাল বিভাগের ১১ জন, সিলেট বিভাগের চার জন, রংপুর বিভাগের ১৫ জন আর ময়মনসিংহ বিভাগের রয়েছেন পাঁচ জন।

এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৫৭ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ২৮ জন আর বাড়িতে দুই জন।