শাহেদুল ইসলাম মনির, কুতুবদিয়া:

ঈদ উদযাপন শেষে নাড়ির টানে বাড়ি যাওয়া মানুষ ফের আস্তে আস্তে ফিরছেন কর্মস্থলে। দেশব্যাপী কঠোর লকডাউনের আগের দিন বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) কুতুবদিয়ার জেটি ঘাট গুলো ছিল উভয়মুখী যাত্রীর চাপ। ভোর থেকে যাত্রীদের প্রচুর ভিড় ছিল। যাত্রীদের চাপ সামলাতে কুতুবদিয়া টু মগনামা ও চনুয়া জেটি গুলোতে ঘন্টায় ১৫ টি নৌকা চলাচল করছে। এই ফেরার লড়াই বেশ চোখে পড়ারা মতো।

এতে গাদাগাদি করে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হয়েছেন যাত্রীরা। দুপুর সাড়ে ১২ টায় এমনই চিত্র দেখা যায়।

শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল থেকে লকডাউন শুরু হচ্ছে। এ অবস্থায় অনেকেই গ্রামের বাড়ী ছেড়ে কর্মস্থল ও শহরের বাসায় ফিরছেন। তারা অটোরিকশা, সিএনজি, মাহিন্দ্রা ও টেম্পো গাড়ী করে কুতুবদিয়ার তিন জেটি ঘাট ( বড়ঘোপ, দরবার ও ধূরুং) গুলোতে ভিড় জমান।

যাত্রী শামসুদ্দিন জানান, লকডাউনে আমাদের অফিস খোলা থাকবে। এখন কিছু করার নেই। তাই গ্রামের বাড়ী থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্য সাগরপথে যাচ্ছি। কারণ ড্যানিস বোটে কোন রকম পারাপার হলেও মগনামা থেকে কক্সবাজার আসতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। তাই তিনি সাগরপথে যাত্রা করেন বলে জানান।

ঢাকায় ফিরছেন আব্দুল বাতেন। তিনি জানান, ঈদ হচ্ছে আমাদের ধর্মীয় উৎসব। একটি বছর পরে আসে এই উৎসব। বাড়িতে সবার সঙ্গে ঈদ করার পাশাপাশি কিছু কাজ ছিল, সেগুলো সারলাম। বাস্তবতা মেনে নিয়েই আমাদের চলতে হবে। জরুরি কাজে তো যেতেই হবে।

আরেক কর্মজীবী মো. লিটন বলেন, পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদ করতে পারাটা অনেক আনন্দের। এখন কষ্ট হলেও ঢাকায় পৌঁছাতে পারলে হবে। চাকরি যেহেতু কারি তাই দ্রুত চলে যাতে হচ্ছে ।

বড়ঘোপ জেটি ঘাটের ইজারাদার আবুল কালাম আজাদ জানান, যেহেতু ২৩ জুলাই দেশে কঠোর লকডাউন হতে যাচ্ছে সেহেতু যাত্রীদের পরাপারের যেন ভোগান্তি না হয় ঘন্টায় ৫-৬ টি নৌকা দিচ্ছি এবং লকডাউনে রোগী ছাড়া অন্য কোন যাত্রী পারাপার হওয়া যাবে না।

চট্টগ্রাম ফেরা অনেক কর্মজীবীর সঙ্গে কথা হয় অনেকেই জানান, পথে কিছুটা ভোগান্তি হলেও তাদের মূল চ্যালেঞ্জ ছিল নিরাপদে কর্মস্থল ও গন্তব্যে ফেরা। তবে সবাই যে ছুটি বা আনন্দ করতে গিয়েছিলেন এমন নয়। অনেকেই জরুরি প্রয়োজনেও ঈদের ছুটিতে বাড়ি গিয়েছিলেন।