আমান উল্লাহ , মক্কা থেকে:

সৌদি আরবের মক্কা নগরীর অদূরে মিনায় গতকাল ১৮ ই জুলাই রবিবার দিনভর অবস্থান করেছেন হাজিরা। সেখানে কোরআন তেলাওয়াত ,নামাজ পড়ে এবং অন্যান্য ইবাদতের মাধ্যমে দিন কাটিয়েছেন তারা। এদিন মিনায় অবস্থানের মাধ্যমে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

রোববার হাজিরা জুহর, আসর ও মাগরিবের নামাজ মিনায় আদায় করেছেন। আজ সোমবার ফজরের নামাজ পড়েই হাজিরা আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছেন। আরাফাতের ময়দানে পুরো দিন কাটাবেন তারা। সারাদিন হাজিরা আল্লাহর নৈকট্যলাভের জন্য ইবাদত বন্দেগিতে নিমগ্ন থাকবেন। হাজিদের কণ্ঠে উচ্চারিত লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠবে আরাফাতের ময়দান।

আরাফাতের দিনটিকে হজের চূড়ান্ত একটি দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। এ দিনটি সারাবিশ্বের মুসলিমদের জন্য একটি বরকতময় দিন। আরাফাতের দিনে ময়দানে অবস্থানরত হাজিদের সঙ্গে সঙ্গে সারা বিশ্ব থেকে মুসলিমরা আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করে থাকেন।

এবার আরাফাতের ময়দানে হজের খুতবা দেবেন মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব ড. শেখ বানদার বিন আবদুল আজিজ বালিলা। খুতবাকে সারাবিশ্বের মুসলিমদের কাছে পৌঁছে দিতে প্রতিবছর সৌদি সরকার একাধিক ভাষায় প্রচারের ব্যবস্থা করে থাকে। এবার বাংলাসহ ১০টি ভাষায় অনূদিত হবে হজের খুতবা।

আরাফাতের ময়দানে দিন কাটানোর পর রাতে মুজদালিফায় যাবেন হাজিরা। সেখানে তারা রাত কাটাবেন এবং ৪৯ টি পাথর সংগ্রহ করবেন ।পরের দিন মঙ্গলবার আবার মিনায় ফিরে জামারাতে প্রথম দিন ৭টি পাথর নিক্ষেপ, কোরবানি ও মাথার চুল ছাটাই করবেন। পরে আবার মক্কায় গিয়ে কাবা শরিফ তওয়াফ এবং সাফা-মারওয়া পাহাড় সায়ী করবেন হাজিরা।

তাছাড়া হেরাম শরীফের গিলাপ বা কাপড় পরিবর্তন করা হয়েছে আজ । প্রতি বছরের ন্যায় আজও ফজরের সালাতের পরে গিলাপ পরিবর্তন করা হয়।

উল্লেখ্য, মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে গতবারের মতো এবারও সীমিত সংখ্যক মানুষকে হজ পালনের সুযোগ দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। এবার সৌদি আরবের বাইরে অন্য কোনো দেশের নাগরিক হজ পালনের অনুমতি পাননি। সৌদি আরবের ৬০ হাজার নাগরিক ভ্যাকসিন গ্রহণের শর্তে হজ পালনের সুযোগ পেয়েছেন।