আজ পবিত্র হজ

প্রকাশ: ১৯ জুলাই, ২০২১ ০৯:৪৫ , আপডেট: ১৯ জুলাই, ২০২১ ০৯:৪৭

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


-ফাইল ফটো।

খলিল চৌধুরী, সৌদি আরব:
আজ পবিত্র হজ। ‘আমি হাজির। হে আল্লাহ আমি হাজির। তোমার কোনো শরিক নেই। সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমার। সব সম্রাজ্যও তোমার। “লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়াননি’মাতা লাকা ওয়ালমুলক, রা শারিকা লাক”- ধ্বনিতে আরাফাতের ময়দান মুখরিত হবে।

আজ আরাফাতের ময়দানে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত থাকবেন কয়েক হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান হাজি।

সৌদির আরবে অবস্থানরত সৌদি-নাগরিসহ বিশ্বের প্রায় ২৫০-টি দেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লী এ হজ্ব অংশ নিচ্ছেন।

এবার বিশ্বের লাখ লাখ মুসলমানের হজ পালনের চিরায়িত দৃশ্য দেখা যাবে না। এবারের হজের অংশের সীমিত করা হয়েছে মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে। পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মাধ্যমে। মেহমানরা গত মঙ্গলবার ফজরের নামাজ শেষে কাবা শরীফ তাওয়াফ করে প্রায় ১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে মিনারের উদ্দেশ্যে রওনা হন। মক্কা হতে মিনার পর্যন্ত প্রতি বছর পদচারণ থাকতো ২৫ লক্ষাধিক মুসলিমের , এবার সেই চিত্র পাল্টে মাত্র ৬৯ থেকে ৬৫ হাজার মুসল্লী যাচ্ছেন হজে। তবুও আকাশ-বাতাস মন্দ্রিত করে ধ্বনি উচ্চারিত হচ্ছে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’…..।

পবিত্র মিনার খিমায় (তাঁবু) তাদের সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাটাতে হবে। রবিবার তারা মিনায় সারা দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেছেন। আজ ফজরের নামাজ শেষে তারা মিনা থেকে যাবেন আরাফাতের ময়দানে। সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে আল্লাহর জিকিরে মশগুল থাকবেন তারা। সেখানে অবস্থিত মসজিদে নামিরাহ থেকে হজের খুতবা পাঠ করা হবে। এবার খুতবা দেবেন নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত খতিব শায়খ আবদুল্লাহ আজিজ বিন বাতেন।

আরাফাতের ময়দানে হাজিদের অবস্থানের দৃশ্য বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। খুতবা বাংলা ভাষায় সহ দশটি ভাষায় অনূদিত হবে। মুসল্লিরা খুতবা শেষে যোহর ও আসরের নামাজ আদায় করবেন। এবং তারা সেখানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থা করে মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন। খোলা মাঠে রাতে সেখানে তারা অবস্থান করবেন।

প্রয়োজনীয়সংখ্যক ৭০টি পাথর সংগ্রহ করবেন সেখান থেকে শয়তানের প্রকৃতিতে পাথর নিক্ষেপের জন্য। মুজদালিফায় ফজরের নামাজ আদায় করে হাজিরা মিনায় যাবেন এবং নিজ নিজ তাঁবুতে ফিরবেন। এবং মিনায় বড় শয়তানকে সাতটি পাথর মারার পর পশু কোরবানি দিয়ে মাথার চুল ছেঁটে (ন্যাড়া করে) গোসল করবেন। পরিধান করবেন সেলাইবিহীন দুই টুকরো কাপড়।

এরপর মিনা থেকে মক্কায় গিয়ে পবিত্র কাবা শরিফ সাতবার তাওয়াফ করবেন। কাবার সামনের দুই পাহাড় সাফা ও মারওয়ায় ‘সাঈ’ (সাতবার দৌড়াবেন) করবেন। সেখান থেকে তারা আবার মিনায় যাবেন। মিনায় যত দিন থাকবেন, তত দিন তিনটি (বড়, মধ্যম, ছোট) শয়তানকে ২১টি পাথর মারবেন। আবার মক্কায় বিদায়ী তাওয়াফ করার পর নিজ নিজ দেশে ফিরবেন।