সংবাদদাতা:
করোনার এই সময়ে ভালো নেই শহরের সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা। এক বেলা খেলে আরেক বেলা থাকতে হয় অনাহারে। শহরের অধিকাংশ রেস্তোরা বন্ধ থাকায় এমন কঠিন অবস্থা পার করতে হচ্ছে তাদের। শনিবার দুপুরে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রওশন ফাতেমা ফাউন্ডেশন, রওফা’ র উদ্যোগে শিশুদের এক বেলা খাবার তুলে দেয়া হয়। এসময় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সেঁজুতি তৌফিক জানান, সমাজের অসহায় মামুষের পাশে দাঁড়ানোই তাদের মূখ্য উদ্দেশ্য। শুধু সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য নয়, সমাজের নানা শ্রেনী পেশার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায় প্রতিষ্ঠানটি। তিনি আরো বলেন, করোনায় এই মহামারীতে জেলার বিভিন্ন স্থানে রওফা ফাউন্ডেশন মানুষের কল্যানে কাজ করেছেন। ভবিষ্যতেও পরিবেশ রক্ষা, অসহায় নারীদের আইনী সহায়তাসহ মানুষের উন্নয়নে কাজ করার কথা জানান রওফা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সেঁজুতি তৌফিক।

কক্সবাজার শহিদ মিনারে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে দুপুরের খাবার বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন কক্সবাজার পৌরসভার প্যানেল মেয়র মাহবুবুর রহমান। উদ্বোধনকালে বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশে অসহায় মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা রয়েছে অনাহারে। রওফা ফাউন্ডেশনের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সমাজের বিত্তবান এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থাকে এসব শিশুদের উন্নয়নে কাজ করার আহবান জানান প্যানেল মেয়র মাহবুবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি সিআইপিআরবি’র সী সেইফ প্রজেক্টের প্রজেক্ট ম্যানেজার ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, মানুষকে মানবিক হতে হবে, যার মধ্যে মানবিক গুণ নেই তিনি মানুষের কল্যানে কাজ করতে পারে না। সমাজে অবহেলিত মানুষের উন্নয়নে দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করে আসছে রওশন-ফাতেমা ফাউন্ডেশন। তাদের এমন কাজ ভবিষ্যতে আরো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানটি মানুষের কল্যানে কাজ করার উৎসাহ অনুপ্রেরণা যোগাবে বলে আশাবাদী তিনি। এসময় বক্তব্য রাখেন, ছিন্নমূল শিশুদের নিয়ে কাজ করা নতুন জীবন নামের আরো একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি ওমর ফারুক হিরু। তিনি বলেন, বর্তমানে সবচাইতে ঝুঁকিতে আছে এসব শিশুরা। তাদের জন্য দরকার নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র। এই বিষয়ে তিনি সরকারি বেসরকারি সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন।

দুপুরে শহরের শহিদ মিনারসহ বিভিন্ন স্থানে শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, রওশন-ফাতেমা ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা ও স্বেচ্ছাসেবকরা।