নিজস্ব প্রতিবেদক :

কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম এমএ শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন্স্থানে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। এ সময় তিনি অসুস্থ একাধিক ব্যক্তিকে তাদের বাড়িতে দেখতে গিয়ে শারিরিক খোঁজ-খবর নেন এবং তাদেরকে ব্যক্তিগতভাবে আর্থিক সহায়তাও দেন।

এদিকে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার বাইতুল ইজ্জতে অবস্থিত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ট্রেনিং সেন্টার এন্ড কলেজের ৯৬তম রিক্রুট ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে যোগ দেন এমপি জাফর আলম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান উপভোগ করেন এমপি জাফর আলম। এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ করেন এমপি জাফর।

কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মো. নেজামুদ্দীন নদভী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম, ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসানুজ্জামান, বিজিবি কক্সবাজার রিজিওনাল কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজেদ, বান্দরবান বোমাং রাজা ইউ চ প্রু প্রমূখ।

সাতকানিয়ার বাইতুল ইজ্জতের অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে এমপি জাফর আলম আকষ্মিক পরিদর্শনে যান চকরিয়ার বইতলী ইউনিয়নের পূর্ব মোজাহের পাড়া জামে মসজিদের নির্মাণাধীন কাজ। এই মসজিদ নির্মাণে এমপি জাফর আলম ব্যক্তিগতভাবে অনুদান দেন ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এ সময় সাথে ছিলেন চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ওয়ালিদ মিল্টন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম, এমপির ব্যক্তিগত সহকারী আমিন চৌধুরীসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

বরইতলী থেকে এমপি জাফর আলম ছুটে যান কোনাখালী ইউনিয়নে। সেখানে তিনি বাড়িতে দেখতে যান ইউনিয়নের বার বার নির্বাচিত ইউপি সদস্য অসুস্থ মধুকে। এ সময় তাঁর শারিরিক খোঁজ-খবর নেন এবং মোটা অংকের টাকার চিকিৎসা সহায়তা তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কোনাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার।

এমপির ব্যক্তিগত সহকারী আমিন চৌধুরী জানান, এমপি জাফর আলম ব্যক্তিগতভাবে ২০ হাজার টাকা অনুদান দেন প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার সাহেবের ক্যান্সারাক্রান্ত মেয়ের চিকিৎসায়। এছাড়াও তাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে প্রাপ্ত ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন।

অপরদিকে সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি মুজিবুর রহমানের পরিবারের জন্য ব্যক্তিগতভাবে নগদ ১০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন এমপি জাফর আলম। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত দুই জন শিক্ষার্থী সেলিম ও সায়েমকে নগদ ১০ হাজার টাকা প্রদান করেন। প্রতিমাসে তাদের পড়ালেখার খরচ বাবদ তিন হাজার টাকা করে দিয়ে আসছেন এবং তাদের পরিবারের ভরণ-পোষণও এমপি মহোদয় দিয়ে থাকেন।