মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

শুক্রবার ১৬ জুলাই কক্সবাজার জেলায় ২ টি প্রতিষ্ঠানে ২ ধরনের পদ্ধতিতে করোনা’র নমুনা টেস্ট করে মোট ১১৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত করা হয়েছে।

তারমধ্যে, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে ৬৩৯ জনের নমুনা টেস্ট করে ১০৭ জনের টেস্ট রিপোর্ট ‘পজেটিভ’ পাওয়া গেছে। বাকী ৫৩২ জনের নমুনা টেস্ট রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ আসে।

এছাড়া, কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে একইদিন ৩৭ জনের র‍্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট (Rapid Antigen Test-RAT) পদ্ধতিতে নমুনা টেস্ট করে ৯ জনের টেস্ট রিপোর্ট ‘পজেটিভ’ শনাক্ত করা হয়। বাকী ২৮ জনের টেস্ট রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ আসে।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ট্রপিক্যাল মেডিসিন ও সংক্রামক ব্যাধি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শাহজাহান নাজির সিবিএন-কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের (পিসিআর) ল্যাবে শনাক্ত হওয়া ১০৭ জন করোনা রোগীর মধ্যে ৫ জন আগে আক্রান্ত হওয়া রোগীর ফলোআপ টেস্ট রিপোর্ট। বাকী নতুন শনাক্ত হওয়া ১০২ জন সকলেই কক্সবাজারের রোগী।

তারমধ্যে, ২০ জন রোহিঙ্গা শরনার্থী। এছাড়া সদর উপজেলায় ১৮ জন, উখিয়া উপজেলায় ১৩ জন, রামু উপজেলায় ৯ জন, টেকনাফ উপজেলায় ২৪ জন, চকরিয়া উপজেলায় ৩ জন, পেকুয়া উপজেলায় ৫ জন, মহেশখালী উপজেলায় ৫ জন এবং কুতুবদিয়া উপজেলার ৪ জন রোগী রয়েছে।

এনিয়ে, ২ টি প্রতিষ্ঠানে আজ ১৬ জুলাই পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া রোগী সহ কক্সবাজার জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হলো-১৫ হাজার ৩২ জন। এগুলো ছাড়া কক্সবাজারের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সমুহে র‍্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট পদ্ধতিতে আজ করোনা শনাক্ত হওয়া রোগীও রয়েছে। যা প্রতিদিন জেলার করোনা শনাক্ত হওয়া রোগীর মোট সংখ্যা নিরূপণে যোগ হবে।

এদিকে, গত ১৫ জুলাই পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কক্সবাজার জেলায় মৃত্যুবরণ করেছে ১৪১ জন। তারমধ্যে, ২৪ জন রোহিঙ্গা শরনার্থী। আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর হার ১’১৮% ভাগ।

একইসময়ে সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৯০ জন করোনা রোগী। আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৮১’০৩% ভাগ। ১৫ জুলাই কক্সবাজার জেলায় করোনার নমুনা টেস্টের তুলনায় পজেটিভিটির হার ছিল শতকরা ২৮’৩৫ ভাগ। যা জেলায় এ যাবৎ কালের সর্বোচ্চ পজিটিভিটির রেকর্ড।