জাহাঙ্গীর আলম,টেকনাফ:
টেকনাফে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত হয়েছে। এ সময় র্যাবের দুই সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দেশে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। ১৬ জুলাই ভোরে টেকনাফের জাদিমুরা ক্যাম্পে পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
র্যাব সুত্রে জানা যায়, কক্সবাজার টেকনাফ দমদমিয়া জাদিমুড়া ২৭নং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ১৬ জুলাই ভোররাতে পাহাড়ের পাদদেশে ডাকাত দলের মধ্যে গুলাগুলির খবর পেয়ে র্যাবের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ডাকাতদল র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি করেন। এসময় র্যাবও আত্মরক্ষার্থে গুলি করেন। গুলাগুলির এক পর্যায়ে ডাকাতদল পিছু হটতে বাধ্য হন।
পরবর্তীতে ঘটনাস্থল থেকে র্যাব বিদেশি পিস্তল,দেশীয় অস্ত্র ও ম্যাগজিন উদ্ধার করে।অস্ত্রসহ গুলিবিদ্ধ আহত রোহিঙ্গা ডাকাতের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন। নিহত রোহিঙ্গা হলেন জাদিমুড়া ২৭নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি ব্লকের বশির আহমদের পুত্র শীর্ষ ডাকাত হাশেম উল্লাহ(৩৩)।
জানা যায় যে, হাশেম উল্লাহর নেতৃত্বে এলাকা সহ ক্যাম্পের আশেপাশের অবস্থানরত ডাকাতদের সমন্বয়ে অপহরণ,মুক্তি বাণিজ্য,ডাকাতিসহ ইয়াবা লুটপাটের ঘটনা বহুদিনের। সম্প্রীতি তার নেতৃত্বে ডাকাতদল বেপরোয়া হয়ে উঠে। এদিকে হাশেম উল্লাহ বন্দুকযুদ্ধে নিহতের খবরে রোহিঙ্গা এবং স্থানীয়দের মাঝে স্বস্থি দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা ক্যাম্প এবং ক্যাম্পের বাহিরে অবস্থানরত ডাকাতদের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রাখার দাবী জানান।
টেকনাফ র্যাব ক্যাম্পের ইনচার্জ লেঃ কমান্ডার মাহাবুব সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।