সিবিএন ডেস্ক:

বাংলাদেশি অভিবাসী অথবা যারা নতুন করে সৌদি আরবে যেতে চান; তাদের জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশে অবস্থানরত সৌদি প্রবাসীরা শুধু চার ধরনের টিকা নিয়ে সৌদি আরব ফিরতে পারবেন। এর বাইরে অন্য কোনো টিকা নিলে তাদের গ্রহণ করবে না সৌদি সরকার।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।

দূতাবাস জানিয়েছে, যারা নতুন করে সৌদি আরবে আসছেন, সৌদি সরকার করোনা ভাইরাসের টিকা হিসেবে চার প্রকার টিকা গ্রহণযোগ্য বলে অনুমোদন দিয়েছে। এসব টিকা হলো—ফাইজার বায়ো-এনটেক (২ ডোজ), অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা (২ ডোজ), মর্ডানা (২ ডোজ) ও জনসন অ্যান্ড জনসন (১ ডোজ)। বাংলাদেশ থেকে যারা সৌদি আরবে আসবেন তাঁরা ওই চার ধরনের যেকোনো একটি কম্পানির টিকার ডোজ গ্রহণ করলে তা গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। তবে টিকা নিলেও ভ্রমণের আগে (৭২ ঘণ্টার মধ্যে) অবশ্যই পিসিআর টেস্ট করে নেগেটিভ সনদ নিয়ে ভ্রমণ করতে হবে।
রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাস বলছে, টিকার পূর্ণ ডোজ গ্রহণ ছাড়া কোনো বাংলাদেশি অভিবাসী সৌদি আরবে প্রবেশ করলে তাকে বাধ্যতামূলকভাবে ৭ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। তবে ইকামাধারী অভিবাসী যারা সৌদি আরবে টিকা নিয়ে ছুটিতে দেশে রয়েছেন এবং যাদের তাওয়াক্কালনা অ্যাপে ইমিউন প্রদর্শন করছে তাদের ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন প্রয়োজন হবে না। কিন্তু পিসিআর নেগেটিভ সার্টিফিকেট লাগবে।
দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার ১৮০ দিন পর্যন্ত তাওয়াক্কালনা অ্যাপে ইমিউন প্রদর্শন করে। এ সময়ের মধ্যে ভ্রমণ করলে কোয়ারেন্টিন প্রয়োজন হবে না। আর যারা প্রথমবারের মতো সৌদি আরব যাচ্ছেন অথবা ইকামাবিহীন অভিবাসী; তাঁদের জন্য সৌদি সরকার অনুমোদিত টিকার পূর্ণ ডোজ নেওয়া হলে, ভ্রমণের আগে ১৪ দিন অতিবাহিত হলে এবং টিকা গ্রহণের সনদ থাকলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে প্রয়োজন হবে না।