মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু:
 কোরবানীর আর বাকি মাত্র ছয় দিন। এরই মধ্যে জমে উঠতে শুরু করেছে নাইক্ষ্যংছড়ি, বাইশারী ও রামুর বৃহত্তর গর্জনিয়া এলাকায় কোরবানীর পশুর হাট। আসন্ন ঈদুল আজহা কে সামনে রেখে গর্জনিয়া বাজারসহ এর আশপাশের পশুর হাটগুলো পুরোপুরি প্রস্তুত। ১৪ দিন লকডাউনের পর প্রশাসন শৈথিল্যে স্থানীয় খামারীরা পশুহাটে পশু আনতে শুরু করেছে।
চাকঢালা ও বাইশারি বাজারে হাট বসে রবি ও বুধবার। আর সোম ও বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিকএ দুই দিন বসে গর্জনিয়া পশুর হাট। বৃহত্তর গর্জনিয়া বাজারে কোরবানির পশুর হাটে হাজার হাজার ক্রেতা বিক্রেতার সমাগম ঘটে যা চোখে পড়ার মত। এটি কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার সর্বোবৃহত্ত পশুর হাট। গর্জনিয়া বাজার ইজারাদার নুরুল ইসলাম বলেন, ক্রেতা-বিক্রেতার সুবিধার্থে বসানো হয়েছে জাল টাকার মেশিন তাই গরু,মহিষ,গয়াল ও ছাগল কেনা-কাটায় কোন সমস্যা নেই।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা জানান, গর্জনিয়ায় অবস্থিত নির্দিষ্ট পশুহাট ব্যতীত নতুন কোনো পশুহাট বসানো যাবেনা। পাশাপাশি রাস্তার উপর কোনো পশুহাট থাকলেও তা বসানো যাবেনা। এছাড়া অবশ্যই নিরাপদ দুরত্বে থেকে মাস্ক পরিধান করে সবাইকে পশুহাটে আসতে হবে। প্রতি হাটে মোবাইল কোর্ট যাবে আইন অমান্য করলে তাকে জরিমানার আওতায় আনা হবে।
সরেজমিনে গর্জনিয়া পশুহাটে গেলে আলাপ হয় কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের খামারি আব্দুর রশিদ এর সাথে তিনি জানান, তার তিন বছর বয়সের একটি নেপালী ষাড় গরু বাজারে এনেছেন। ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করবেন বলে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তবে এখনও কোনো ক্রেতার সাক্ষাৎ মেলেনি। রশিদ কোম্পানির খামারে উন্নত জাতের গয়াল,মহিষ ও অস্ট্রেলিয়া জাতের গরু রয়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার খামারি মাহমুদউল্লাহ জানান করোনার কারণে গরু,মহিষ ও ছাগলের ন্যায্য মূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন। এ বছর করোনায় কোরবানির  পশুর হাটে দরদাম তেমন নেই কোনমতে পোষাইলে তিনি তার খামারের পালিত গরু বিক্রি করে দেবেন।
নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে আসা হোসন আহাম্মদ জানান, তিনি কোরবানীর জন্য গরু দেখতে এসেছেন দামে পোষালে আজই কিনবেন। তবে এই হাটে পশুর দাম একটু বেশী চাওয়া হচ্ছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর, বাইশারি ও চাকঢালায় ছোট ছোট মোট ৩ টি পশুহাট রয়েছে। তবে পার্শ্ববতী রামু উপজেলার গর্জনিয়া বাজার হচ্ছে এসব এলাকার একমাত্র বড় কোরবানির পশুর হাট ওই এলাকার বেশিরভাগ ক্রেতা ও বিক্রেতারা আসেন গর্জনিয়া এ পশুহাটে। এবছর দেশিও জাতের পাহাড়ি গরু ও ছাগলের কদর একটু বেশি তাই ক্রেতারা পাহাড়ি গরু, ছগলের দিকে ঝুঁকছে বেশি। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইমরান মেম্বার তিনিও বেশ কয়েকটি দেশিও জাতের গরু এনেছে গর্জনিয়া পশুর হাটে। তিনিও ন্যায্য মূল্য পাবে কিনা শঙ্কায় ভুগছেন। তবে সে কয়েকটি বিক্রিও করেছন। শেষ পর্যন্ত কি ন্যায্য মূল্য পবেন?। যা হোক সব মিলিয়ে বিক্রি হোক আর না হোক জমে উঠতে শুরু হয়েছে পশুর হাট। ১৫ জুলাই বৃহস্পতিবার ছিল হাটের দিন। এ দিন বাজার ও পশুর হাট পরির্দশনে ছুটে আসেন কক্সবাজারের একটি প্রশাসনিক টিম। এদিকে গর্জনিয়া পুলিশের একটি টিম যে কোন ধরনের পশুর হাটে চুরি,চিন্তায়, জাল নোট সহ অপরাধী ধরতে এবং পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত আছেন।