অনলাইন ডেস্ক: সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা গ্রেফতারে পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। সহিংস সে বিক্ষোভে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে সেখানকার বাংলাদেশি প্রবাসীরা।

গত কয়েকদিনের সহিংসতায় কোয়াজুলু-নাটালের পিটারমেরিৎজবার্গ, ডারবান ও গাওটেং প্রদেশের জোহানেসবার্গ, জারমিস্টোন শহরসহ আশেপাশের এলাকাগুলোতে থাকা বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের অনেকে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন। এমনটা জানিয়েছেন জোহানেসবার্গের বাসিন্দা মোহাম্মদ মোশাররফ – যিনি সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন এবং স্থানীয় বাংলাদেশিদের সংগঠনের সঙ্গে জড়িত।

মোহাম্মদ মোশাররফ বলেন, এখানে বসবাসরত প্রায় ৯০ ভাগ বাংলাদেশি সুপারশপ জাতীয় দোকান পরিচালনা করেন। গত কয়েকদিনের বিক্ষোভে ৪০০’র বেশি বাংলাদেশি মালিকানাধীন দোকান ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার মধ্যে বেশ কিছু দোকান পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে অন্তত ১০টি দোকানের প্রতিটিতে থাকা মালামালের মূল্য ছিল ৩০ থেকে ৪০ মিলিয়ন র্যা ন্ড, টাকার অঙ্কে যা দেড় থেকে দুই কোটি টাকারও বেশি।

তিনি আরও বলেন, এ ছাড়া অন্তত ২০০’র বেশি দোকানে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ চালানো হয়েছে যেসব দোকানের প্রত্যেকটিতে থাকা মালামালের মূল্য ছিল তিন থেকে দশ লাখ র্যা ন্ড – বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ১৫ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকার সমমানের। চলমান এই বিক্ষোভে হওয়া লুটপাটে কয়েক হাজারের বেশি বাংলাদেশি সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বিক্ষোভে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এক বাংলাদেশি প্রবাসী হলেন সোহেল রানা। তিনি বলেন, একটা কমপ্লেক্সের মতো জায়গায় বেশ কিছুটা জায়গা জুড়ে ফার্নিচারের দোকান, পেট্রোল পাম্প, সুপারশপ ছিল আমার। সোমবার রাত থেকে লুটপাট শুরু হওয়ার পর সেখান থেকে প্রায় সবকিছুই নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা

লুটপাট চালানো হয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পেছনে রানার বাসায়ও। ওই ঘটনার পর সন্তান সম্ভবা স্ত্রীকে নিয়ে পরিচিত একজন বাংলাদেশির বাসায় উঠেছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, কোয়াজুলু-নাটাল ও গাওটেং প্রদেশের অন্তর্গত অধিকাংশ দোকান ও গুদামেই গত কয়েকদিনে চলেছে লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা। সেসব এলাকায় বাংলাদেশি মালিকানাধীন দোকানপাট সহ অন্যান্য দোকানও পড়েছে বিক্ষোভকারীদের রোষানলে।

সূত্র : বিবিসি