মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া:
চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীতে অবৈধ বালু উত্তোলনে প্রভাব বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বসতঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও বিপরীত পক্ষের এক যুবক আহত হয়েছে।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খুটাখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড পাগলিরবীল নামক এলাকায় ছড়াখালে অবৈধ শেলু মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন নিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে জানা গেছে, খুটাখালী ও ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মধ্যবর্তী এলাকা পাগলিরবীল ছড়াখালে পরিবেশ ধ্বংস করে অবৈধ সেলু মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছিল প্রভাবশালী বালু খেকোরা। এতে জড়িতদের মধ্যে রয়েছে খুটাখালী কোনা পাড়া এলাকার নুরুল ইসলাম প্রকাশ নুরু ও তার ছেলে শাহ্ জালাল। অপরদিকে একই খালে আরেকটি অবৈধ সেলু মেশিনে বালু উত্তোলন করছিল ডুলাহাজারা ৪নং ওয়ার্ডের মৃত নাজেম উদ্দিনের ছেলে নাজমুল হাসান ও তার কয়েকজন শেয়ারদার। এ দুপক্ষের আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে বেঁধেছে সংঘর্ষ।

ঘটনার দিন সকালে বালু উত্তোলনকারী নুরুর বসতবাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেন। এসময় অপর পক্ষের নাজমুল হাসানের হাতে গুরুতর জখম প্রাপ্ত হয়। তাকে ছুরিকাঘাত করে নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ তুলেন। তবে বালু উত্তোলনকারী নুরুর ছেলে শাহ্ জালাল দাবি করেন, ভাঙচুর করতে গিয়ে সে টিনে কেটে আহত হয়েছে। এ নিয়ে দুপক্ষের মামলা মোকদ্দমার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়। অবৈধ বালু উত্তোলনের বিষয়ের এ ঘটনায় এলাকায় টানাটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।

বালু উত্তোলনকারী নুরুল ইসলাম নুরু বলেন, ঘটনাটি বালু উত্তোলনের বিষয় নিয়ে ঘটেনি। তার বসতবাড়িতে দিনদুপুরে মুখোশধারী ডাকাত দল পরিকল্পিত ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। তৎমধ্যে খুটাখালী সাতঘটিয়া পাড়ার আহমদ সোবহানের ছেলে জিল্লুর রহমান ও তার ভাই মন্নানসহ আরো চারজনকে তিনি চিনতে পেরেছেন।

অবৈধ সেলু মেশিনে বালু উত্তোলনকারীর অপর পক্ষের আহত নাজমুল হাসান দাবি, ইজারা নিয়ে তারা দীর্ঘ সময় ধরে বালু উত্তোলন করে আসছিল। কোনা পাড়ার প্রভাবশালী নুরু এবং তার ছেলেরা মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে অপারগতা জানালে তার হাতে ছুরিকাঘাত করে নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।

খুটাখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড মেম্বার সেলিম উল্লাহ জানান, ঘটনার পর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি নুরুল ইসলামের নুরুর বসতঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের বিষয়ে তিনি জানেন না।

ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, বালু উত্তোলনের বিষয় নিয়ে কোনা পাড়ায় বসতঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে নিষেধ করার পরও তারা মান্য করেনি।

চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক মেহেদী হাসান মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ব্যাপারে তিনি জানান, উপরের নির্দেশনা মতে আমি কোন বক্তব্য দিতে পারব না। আগামীকাল (বুধবার) সকালে এ বিষয়ে তিনি জানাতে পারবেন।