এম.এ আজিজ রাসেল :
কক্সবাজার জেলার হতদরিদ্রদের জন্য ১ হাজার ৭৮২ মে. টন ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ১ লক্ষ ৭৬ হাজার ২৬৭ কার্ডধারী পরিবার ১০ কেজি করে এই চাল পাবে। আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে ৮ উপজেলা ও ৪টি পৌরসভায় ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হবে।

জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখা সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজারের ৮ উপজেলা ও ৪ পৌরসভার ১ লক্ষ ৭৬ হাজার ২৬৭ কার্ডধারী পরিবারের জন্য ১ হাজার ৭৮২ মে. টন ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে কক্সবাজার পৌরসভায় ৪ হাজার ৬২১ পরিবারের জন্য ৪৬ মে. টন, চকরিয়া পৌরসভায় ৪ হাজার ৬২১ পরিবারের জন্য ৪৬ মে. টন, মহেশখালী উপজেলায় ৪ হাজার ৬২১ পরিবারের জন্য ৪৬ মে. টন ও টেকনাফ পৌরসভায় ৩ হাজার ৮১ পরিবারের জন্য ৩০ মে. টন চাল বরাদ্ধ হয়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজার সদর উপজেলার ২০ হাজার ২৮৮ পরিবারের জন্য ২০২ মে. টন, রামু উপজেলার ২০ হাজার ১৭৮ পরিবারের জন্য ২০১ মে. টন, টেকনাফ উপজেলার ২৩ হাজার ৫৬১ পরিবারের জন্য ২৩৫ মে. টন, উখিয়া উপজেলার ১৭ হাজার ৮৯৪ পরিবারের জন্য ১৭৮ মে. টন, পেকুয়া উপজেলার ১৬ হাজার ৪০৪ পরিবারের জন্য ১৬৪ মে. টন, মহেশখালী উপজেলার ২২ হাজার ৮৪০ পরিবারের জন্য ২২৮ মে. টন, কুতুবদিয়া উপজেলার ১৩ হাজার ৪৭০ পরিবারের জন্য ১৩৪ মে. টন ও চকরিয়া উপজেলার ২৪ হাজার ৬৮৮ পরিবারের জন্য ২৪৬ মে. টন চাল বরাদ্দ হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বরাদ্ধকৃত চাল শীঘ্রই স্ব স্ব উপজেলা ও পৌরসভায় বিতরণ করা হবে। ভিজিএফের চালের পাশাপাশি চলমান লকডাউনে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রতিদিন জেলায় ৩ হাজার মানুষকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হচ্ছে। এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, করোনা সংকট মোকাবেলায় সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ব্যাপক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষকে প্রতিদিন খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি অন্যান্য মানবিক সহায়তাও অব্যাহত আছে। কারও ঘরে যদি খাবার না থাকে হটলাইন ৩৩৩ নাম্বারে কল দিলে স্বেচ্ছাসেবকরা খাবার পৌঁছে দেবে। করোনা মোকাবেলায় তিনি সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।