এম.এ আজিজ রাসেল :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগেরর ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা বলেছেন, “করোনা সংক্রমণ রোধে সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে। নিজে সতর্ক থাকার পাশাপাশি অন্যদেও রাখতে হবে নিরাপদ। এ জন্য নিয়মিত পরিস্কার—পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। বজায় রাখতে হবে সামাজিক দুরত্ব। বাড়াতে হবে মাস্ক ব্যবহারের পরিধি। হতাশ হওয়ার কোন কারণ নেই। এখন টিকা আসছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে কক্সবাজারের সব মানুষ টিকা পাবে। বাংলাদেশসহ কক্সবাজার অচিরেই করোনামুক্ত হবে ইনশাল্লাহ।”
সোমবার (১২ জুলাই) লাবনী ও সুগন্ধা পয়েন্টে পর্যটনকর্মীদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী উপহার খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন।
অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা আরও বলেন, বৈশ্বিক মহামারিতে মানুষের পাশে দাড়িয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষকে তিনি ব্যাপকভাবে খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। যা বিশ্ব মাঝে বিরল। অন্যকোন দেশ এভাবে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে না।
এসময় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাহিদ ইকবাল, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম ও কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাহিদ ইকবাল বলেন, “চলমান কঠোর লকডাউনে নানান শ্রেণী পেশার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তাই এসব মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিতরণ কার্যক্রম চলছে। পর্যায়ক্রমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কর্মহীন মানুষের মাঝে এই মানবিক সহায়তা বিতরণ করা হবে। জেলার অন্যান্য উপজেলায়ও এই কার্যক্রম চলছে। এছাড়া কারও ঘরে যদি খাবার না থাকে হটলাইন ৩৩৩ নাম্বারে কল দিলে স্বেচ্ছাসেবকরা খাবার পৌঁছে দেবে।”
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “সোমবার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে লাবনী—সুগন্ধা পয়েন্টে ঝিনুক—হকার ব্যবসায়ী ছাড়াও কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে বাবুর্চি, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে হতদরিদ্র, পেশকারপাড়ায় দিনমজুর ও কোর্ট বিল্ডিং চত্বয়ে সমশদেও মাঝে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়।

খাদ্য সহায়তা বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিল্লুর রহমান, সৈয়দ মুরাদ ইসলাম, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, পর্যটন ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন দুলাল ও কাশেম আলী।