অনলাইন ডেস্ক: করোনা মহামারিতে দীর্ঘ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিশুদের পড়াশুনা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে জানিয়ে দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ ও ইউনেসকো।

সোমবার (১২ জুলাই) এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের সংস্থা দুটির পক্ষ থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, করোনা সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এ দীর্ঘ সময়ে লাখ লাখ শিশুর পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে জানিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইউনেসকো ও ইউনিসেফ ।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর ও বিশ্ব ঐতিহ্য সংস্থা ইউনেসকোর মহাপরিচালক অড্রে অ্যাজুল এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, আজ পর্যন্ত বিশ্বের ১৯টি দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। এর ফলে ১৫ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটা কিছুতেই চলতে পারে না।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারগুলো দীর্ঘকাল ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। অথচ অনেক ক্ষেত্রে স্কুলগুলো বন্ধ রাখা হলেও বার ও রেস্তোরাঁ ঠিকই খোলা ছিল এবং আছে।

ইউনিসেফ–ইউনেসকো বলছে, স্কুলে যেতে না পারার কারণে শিশু এবং তরুণ জনগোষ্ঠী যে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে তা হয়তো কখনোই পুষিয়ে নেওয়া যাবে না। শুধু শিক্ষার্থী নয়, বাবা-মা এবং শিক্ষকদেরও এ ক্ষতির ভার বইতে হচ্ছে।

টিকা দিয়ে স্কুল খুলে দেয়ার বিষয়ে ইউনিসেফ–ইউনেসকোর বিবৃতিতে বলা হয়, স্কুলগুলো পুনরায় খোলার ক্ষেত্রে সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর টিকা দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করা যায় না। বৈশ্বিক টিকার ঘাটতি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলেছে। স্কুলে প্রবেশের আগে টিকাদান বাধ্যতামূলক না করাসহ সব স্কুলের উচিত যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষার্থীরা যাতে কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে সে ব্যবস্থা করা। করোনার সংক্রমণ শূন্যের কোটায় নেমে আসার অপেক্ষায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়টি ঝুলে থাকতে পারে না। স্কুল খুলে দেয়া বা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত যে কমিউনিটিতে বা এলাকায় স্কুল অবস্থিত সেখানকার মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনা করে নেয়া উচিত।