জাহাঙ্গীর আলম,টেকনাফ:

কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলা শিক্ষার হার বিভিন্ন উপজেলার চাইতে কম।এর মধোই উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের শিক্ষার হার একদম ২০% এর মধোই পড়ে সেই গ্রামে ২০১৩ সালে একটি দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়।

জানাযায় যে,২০১৩ সালে ইসলামিক সেন্টার কর্তৃক পরিচালিত দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হযরত খাদিজাতুল কোবরা (রাঃ) এতিম, হেফজখানা ও নুরানী এবতেদায়ী মাদ্রাসটি কোন রকম ইট ও টিনের তৈরি একটি সেমিপাকা মাদ্রাসা তৈরি করে ৩ জন মহিলা শিক্ষক,৪ জন পুরুষ শিক্ষক দিয়ে মাদ্রাসাটির যাত্রা শুরু হয়।

শুরু থেকে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাদাতা সাবেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস.এম সব্বির আহমদ মাদ্রাসাটি পরিচালনা করে আসলেও আর্থিক সম্যসার কারণে মাদ্রাসাটি সংস্কার সহ মাদ্রাসার বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন করতে না পেরে সমাজের বিত্তশালী,জনপ্রতিনিধি সহ সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।

হযরত খাদিজাতুল কোবরা(রাঃ)এতিমখানা ও হেফজখানা নুরানী এবতেদায়ী মাদ্রাসটির,পাঠদানে পর্যাপ্ত শ্রেনী কক্ষ নেই,আসবাবপত্র সহ নিরাপদ পানির ব্যবস্থা ও অজুখানা,স্বাস্থ্যসস্মত বাথরুম নেই।
৫ শ্রেণী পযর্ন্ত দ্বীনি ও বাংলা শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়।বিভিন্ন অবকাঠামোর সম্যসার কারণে মাদ্রাসাটি’র বেহালদশা সৃষ্টি হয়েছে।
মাদ্রাসাটির সাথে একটি জামে মসজিদও রয়েছে।

মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতা দাতা সাবেক প্রধান শিক্ষক এস.এম সব্বির আহমদ জানান, তিনি বিভিন্ন স্থানে শিক্ষকতা করে অবসর গ্রহণ করেছেন।অতচ তার নিজ গ্রামে শিক্ষার হার নিম্ন পর্যায় হওয়ায় তিনি একটি দ্বীনি শিক্ষিকা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে ছিলেন।
কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন অবকাঠামো’র সম্যসা সংস্কার করতে আর্থিক সম্যসার কারণে মাদ্রাসাটি’র কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারতেছে।তাই তিনি সমাজের বিত্তশালী,জনপ্রতিনিধি সহ সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।

প্রধান শিক্ষক মাওলানা মোঃ আলী বলেন,আমরা দীর্ঘদিন যাবত এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করে আসছি বহু কষ্টে মাদ্রাসাটি তে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করাচ্ছি।আর্থিক সম্যসার কারণে আমরা ঠিকমত বেতন ভাতা পাচ্ছি না,আর যে পরিমান আমরা বেতন ভাতা পাই তা দিয়ে আমাদের সংসার চালাতে কষ্ট হয়। মাদ্রাসার বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।