শাহেদুল ইসলাম মনির , কুতুবদিয়া :

কুতুবদিয়ায় চলমান লকডাউনে পশু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন উপজেলার খামারিরা। যত দিন যাচ্ছে ততই শঙ্কা বাড়ছে তাদের। অন্যান্য বছর আরো আগে থেকে খামারে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেলেও এবছর লকডউনের কারণে ক্রেতা তুলনামূলক কম।

তাছাড়া কুরবানির পশুর হাটের অনুমতি নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা থাকায় উদ্বিঘ্ন উপজেলার ছোট-বড় খামারিরা। লকডাউনে পশুখাদ্যের দাম বাড়ায় বিক্রি করতে যত দেরি হবে ততই ব্যায় বাড়বে বলে জানিয়েছেন তারা।

খামার মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আকার ও জাত ভেদে একেকটি গরুকে দৈনিক ১০০-২০০ টাকার দানাদার খাবার দিতে হয়। এছাড়া ঘাস, খড়, ও শ্রমিক খরচ মিলিয়ে সারাবছরে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করতে হয়। অন্যান্য বছর বিয়েসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গবাধিপশুর চাহিদা থাকলেও এবার এসবে নিষেধাজ্ঞা থাকায় বিক্রি করা যায়নি। এগুলো দ্বীপের চাহিদা মিটিয়ে অনেক গবাদি পশু পার্শ্ববর্তী পেকুয়াসহ বিভিন্ন উপজেলায় নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এ বছর লকডাউনের কারণে স্থানীয় পশু হাট গুলো বন্ধ রেখেছে প্রশাসন।

আবার লকডাউন থাকায় দূরদুরান্ত থেকে ক্রেতারা আসতে পারছেন না।

এ অবস্থায় বড় খামারিরা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পাশাপাশি স্বল্প পুঁজির খামারিরা পুঁজি হারানোর আশঙ্কায় রয়েছেন। তাদের আশা, এখনো গবাধিপশুর অস্থায়ী হাটের অনুমতি দিলে বড় ক্ষতি থেকে বাঁচা যাবে।

উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের আমজাখালী এলাকার কালু মিয়া জানান, তার খামার রয়েছে ৩টি গরুর প্রতিটি ১ থেকে ২ লক্ষ টাকা। কিন্তু করোনায় কঠোর লকডাউনে পশু হাট বন্ধ থাকায় পরিস্থিতি কি হবে? তাও বলা যাচ্ছে না। ঈদের কয়েকদিন বাকি। সবাই প্রশাসনের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন।
শুধু কালু মিয়া নয়, তার মতো শতাধিক পশু পালনকারী লোকসানের আশংকা রয়েছেন।

উপজেলা প্রণি সম্পদ অফিসের সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ছোট-বড় মিলিয়ে কুরবানিযোগ্য গবাধিপশুর সংখ্যা ৫ হাজার ৩ শত ৬৫ টি।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. লেলিন দে বলেন,আমরা অনলাইনে ও ফেসবুকে গবাধিপশুর ছবি ও বিস্তারিত তথ্য প্রচার করে খামারিদের সহযোগিতা করতে চেষ্টা করছি। পশু আগে কিনে রাখার ঝামেলা এড়াতে অনেকে দেরিতে ক্রয় করেন। আরো সময় গেলে আশা করি খামারিরা গবাধিপশু বিক্রি করতে পারবেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্ত ডা.নুরের জামান চৌধুরী বলেন, কুরবানির পশুর অস্থায়ী হাটের ব্যাপারে জেলা প্রশাসন থেকে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আমরা পাইনি।