বিশেষ প্রতিবেদক:

প্রায় ৫০ জন সশস্ত্র লোক শূন্যে গুলি করে কক্সবাজারের চকরিয়ায় নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ মৎস্য ও পশু সম্পদ ফাউন্ডেশনের মালিকানাধীন ৩০০ একর চিংড়ি খামার দখল করে নিয়েছে বলে বুধবার চকরিয়া পুলিশ জানিয়েছে।

সোমবার রাতে অজ্ঞাত হামলাকারীরা জেলার চকরিয়া এলাকায় ২৫ বছর বয়সী চিংড়ি খামারে এই দখল অভিযান চালায়। দুর্বৃত্তরা খামারের ১৫ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে বেঁধে ফেলে, তাদের মারধর করে এবং পরে তাড়িয়ে দেয়।

খামারটি গ্রামীণ মৎস্য ও পশু সম্পদ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য অধিদপ্তর হতে লীজ নিয়ে পরিচালনা করে আসছে।

খামারের ম্যানেজার উৎপল কান্তি জানান, আক্রমণকারীরা খামারটি দখল করে এবং কর্মচারীদের মারধর করে। মঙ্গলবার রাতে চকরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি আরও জানান, খামারে গ্রামীণ মৎস্য ফাউন্ডেশন কয়েক কোটি খরচ করে সাইক্লোন সেন্টার ও রাস্তা নির্মান করেছে। তিনি বলেন, এই খামার নিয়ে হাইকোর্টে মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

চকরিয়া থানার ওসি সেখর মোহাম্মদ যুবায়ের জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানান। তিনি বলেন, তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

চকরিয়া উপজেলা  চেয়ারম্যান ফজলুল করিম  জানান, রামপুর অঞ্চলে এই প্রথম এত বড় খামারটি জোর করে দখল করা হয়েছে । স্থানীয়রা এই ঘটনাকে নজিরবিহীন বলে উল্লেখ করেন।  ইতোমধ্যে খামার হতে লক্ষ লক্ষ টাকার চিংড়ি ধরে বিক্রি করা হয়েছে বলেও  তারা জানান

এ বিষয়ে কক্সবাজারের আঞ্চলিক মৎস্য কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেছেন: “চকরিয়ার রামপুর মৌজার একর চিংড়ি খামারের মধ্যে প্রায় ৩০০ একর জমি গ্রামীণ ফিশারি ফাউন্ডেশনকে লিজ দেওয়া হয়েছিল। ১৫বছরের ইজারা ২০১৪ সালে শেষ হয়েছিল। তবে ইজারা বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে গ্রামীণ মৎস্য ও পশু সম্পদ ফাউন্ডেশন ও সরকারের ফিশারি বিভাগের মধ্যে হাইকোর্টে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

গ্রামীণ মৎস্য ও পশু সম্পদ ফাউন্ডেশনের এমডি বাবুল সাহা ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করে বলেন, একটি স্বাধীন দেশে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দ্বারা মৎস্য খামার দখলের এই ঘটনা অকল্পনীয়। তিনি দ্রুত সন্ত্রাসীদের দখল হতে খামারটি মুক্ত করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানান।