বান্দরবান প্রতিনিধি:

বান্দরবানে এক সপ্তাহ যাবত হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ২৪ ঘন্টায় বান্দরবানে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে আরো ৩৯জন। আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ২৬জন, লামা ৬জন, রুমা ১জন , থানচি ১জন এছাড়া ৫ জন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাসিন্দা।

বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডাঃ অং সুই প্রু মারমা জানান, এ পর্যন্ত বান্দরবানে ৭ হাজার ৯শত ১৬জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে তার মধ্যে ৭হাজার ২শত ২৮জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া গেছে, এদের মধ্যে ১হাজার ১শত ৯৯জনের শরীলে করোনা সনাক্ত হয়েছে এবং ১০৮৬জন করোনার চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠেছে। তিনি আরো জানান,জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এই পর্যন্ত ৫জনের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, বান্দরবানে এই পর্যন্ত ১৮হাজার ২জন করোনার প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে এবং ১৬ হাজার ১শত ৪৩জন ২য় ডোজ গ্রহণ করেছে আর সবাই সুস্থ রয়েছে।

এদিকে বান্দরবানের সাত উপজেলায় চলমান কঠোর লকডাউনে সরকারী নির্দেশনা অমান্য করায় গত পাচঁ দিনে ২২৭টি মামলা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ৭৬ হাজার ৬৫০ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বান্দরবান জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। লকডাউন কার্যকর করতে এ অভিযান চালানো হচ্ছে।

সরেজমিন দেখা যায়, লকডাউনে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য জেলা শহরসহ সাত উপজেলায় প্রশাসন কঠোর রয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের মোট ১৮টি টিম সরকারী নির্দেশনা পালনের জন্য একযোগে কাজ করছেন। পাশাপাশি তাদের সহায়তা করছেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা। মঙ্গলবার জেলায় ৪৩টি মামলা হয়। জরিমানা আদায় করা হয়েছে ১৪ হাজার ৯০০টাকা।

এদিকে কঠোর লকডাউনে বান্দরবান শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতা দেখা যায়। পণ্যবাহী ও জরুরি সেবার কাজে নিয়োজিত যানবাহনগুলো ছাড়া লকডাউনের আওতায় নিষিদ্ধ কোনও ধরনের যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে বুধবার সাপ্তাহিক হাটের দিন উপলক্ষে বান্দরবান শহরে জনসমাগম দেখা গেছে। ব্যাংকেও ছিল দীর্ঘ লাইন।