বার্তা পরিবেশক:
গত ২ ও ৩ জুলাই টিটিএন অনলাইন চ্যানেল ও স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় রামুর ইটভাটায় সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাট শিরোনামে প্রচারিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদটি বাস্তবতাবিবর্জিত এবং সত্যতার লেশমাত্র নেই। সংবাদে আমার নেতৃত্বে হামলার যে বর্ননা দেয়া হয়েছে তা মূলত মিথ্যার ফুলঝুরি। , সেদিন আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম না। অথচ সংবাদে আমাকে হামলাকারী হিসাবে চিহ্নিত করে আমার চৌদ্দ গুষ্টিকে উদ্ধার করা হয়েছে। সেদিন শুক্রবার আমি মসজিদে জুমা পড়তে যাই এবং ইমাম নিয়োগ সংক্রান্ত কাজ শেষ করে আসার পথে জানতে পারি দক্ষিণ চাকমারকুলের এইচএএম ব্রিকফিল্ডের কর্মচারী জাহাঙ্গীর ও জমিদারের ৪/৫ জন লোকের সাথে জমিদারের জমির লাগিয়ত ও ভাটার টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য মৌলভী রফিক কোম্পানি ও উপ ভাড়াটিয়া হোসেন আলীর যোগসাজশে আমাকে প্রধান আসামি করে আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। আমি উক্ত ঘটনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল না হয়েও ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থেকেও উক্ত হোসেন আলী প্রশাসনকে ভুলবুঝিয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম কে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমার মানহানি করেছে। আমি রামু সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের ২০১৩ সাল থেকে অদ্যাবধি সুনামের সাথে শিক্ষকতা করে আসছি। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করে আসছি। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার পারিবারিক ও সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করার জন্য সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে এবং সাংবাদিক ভাইদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে উক্ত মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রচার করেছে। আমি উক্ত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং উক্ত মিথ্যা সংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানাচ্ছি। পাশাপাশি আমার বিরুদ্ধে করা মামলা তদন্ত পূর্বক উক্ত মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী
মোহাম্মদ হোসাইন, পিতা- মোঃ ইসলাম
সাং- কোনার পাড়া, দক্ষিণ চাকমার কুল, রামু।