অন্তর দে বিশাল:

করোনা সংক্রমণ রোধে সারাদেশে সাতদিনের সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হলেও কক্সবাজার শহরের অভ্যন্তরীণ সড়কে এর ছিটেফোঁটারও দেখা মেলেনি।

শহরের অভ্যন্তরীণ ও জনবহুল সড়কের একটি গোলদীঘির পাড় চত্বর, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত
গোলদীঘির পাড়ের খুশগল্প- আড্ডা,পুকুর পাড়ের চারপাশে অস্থায়ী নানা রকম ভ্রাম্যমাণ দোকান খোলা রাখায় লকডাউনের প্রভাব তেমন একটা পড়েনি বললেই চলে।

গত ২৮ জুন থেকে পহেলা জুলাই সকাল ৬ টা পর্যন্ত সীমিত লকডাউন শেষে, পহেলা জুলাই সকাল ৬ টা থেকে ৭ জুলাই সকাল ৬টা পর্যান্ত সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। সেই চলমান লকডাউনের প্রথম ও দ্বিতীয় দিনের ন্যায় আজও লকডাউনের বিন্দুমাত্র প্রভাব দেখা যায়নি কক্সবাজার শহরের জনবহুল এলাকার গোলদীঘির পাড় চত্বর সহ আশে পাশের এলাকার অলিগলিতে।

গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দেখা গেছে,গোলদীঘি পাড় এলাকায় অন্যান্য স্বাভাবিক দিনের মতোই গাদাগাদি করে যানবাহন চলাচল। প্রধান সড়কে প্রশাসনের কড়াকড়ির কারণে বার্মিজ মার্কেট, গোলদীঘির পাড়, হাসপাতাল সড়ক,মোহজের পাড়া,স্টেডিয়াম সড়ক দিয়ে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতেছে লোকজন। শহরের প্রধান সড়ক ব্যতিত অন্য অন্য জায়গা অলি গলিতে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন ও সাধারণ মানুষের আধিপত্য। অনেককেই দেখা গেছে পায়ে হেঁটে চলাফেরা করতেছে বিনা কারণে। খোলা রয়েছে শহরের প্রতিটি এলাকার অলিগলির দোকান-পাট।

অন্যদিকে লকডাউন কার্যকরে প্রশাসন প্রধান সড়কে যেইভাবে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে,তেমন কোনো বিশেষ উদ্যোগ চোখে পড়েনি জনবহুল এলাকার অলিগলিতে।
যার সুযোগে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ও মাস্ক পরিধান করার বালাই ছিল না কোথাও।

শহরের অনেক সচেতন নাগরিক ক্ষোভ প্রকাশ করে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই নিয়ে নানা রকম মন্তব্য করতেও দেখা গেছে।

সচেতন নাগরিকরা জানান, করোনা মহামারি ঠেকাতে সারা দেশে সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রধান সড়কে এই লকডাউনের প্রভাব পড়লেও গোলদীঘির পাড় চত্বর,সহ শহরের অলিগলিতে নাই তেমন কোন প্রভাব। এলাকার অলিগলি যত্রতত্র আড্ডা, ভ্রাম্যমাণ বাজার বসানো,রিকশা , অটোরিকসা,ইজিবাইক, মোটরসাইকেল সহ নানা রকম পরিবহন চলাচল করে যাচ্ছে ।
এভাবেই হলে কতটুকু কার্যকর হবে এই সর্বাত্মক লকডাউন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা।

তাদের দাবি , এলাকার অলিগলিতে চেকপোস্ট বা প্রশাসনের অবস্থান কঠোর না করলে,লকডাউনের সফলতা পাওয়া সম্ভব নয়। এইভাবে চললে শহরের মানুষ সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে থাকবে।