খালেদ হোসেন টাপু, রামু
সরকার ঘোষিত সাতদিনের কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার দিনব্যাপী রামু উপজেলা প্রশাসনের কড়া নজরদারি লক্ষ্য করা গেছে।
প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সেনাবাহিনী বিজিবি-পুলিশ,র‍্যাব আনসার ও গ্রাম পুলিশ এবং স্কাউট দল যথারীতি দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
এদিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যথাক্রমে আরফাত সিদ্দিকী ও সৈয়দ জাদী মাহবুবা মঞ্জুর মৌনার নেতৃত্বে ভাম‍্যমান আদালতের একটি টিম রামু চৌমুহনী স্টেশনে বিভিন্ন মুদির দোকান, ওষুধের ফার্মেসি, প্যাথলজি, এক্সরে সেন্টারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লাইসেন্স ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেন।
এ সময় ভাই ভাই স্টোরসহ ২ মুদি দোকানকে পৃথকভাবে ১০০০, চৌমুহনীতে অবস্থিত আওনাত শপিং সেন্টারের ২তলায় পপুলার প্যাথলজি ও মালুমঘাট এক্সরে সেন্টার পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে বলে এই দুই নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট।
এদিকে পপুলার প্যাথলজীকে যথাসময়ে কাজ পত্র নিয়ে হাজির হওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন এবং মালুমঘাট এক্সরে এর মালিক বুলবুল কান্তি দে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তাকে নগদ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
অন্যদিকে রামু চৌমুনীতে অবস্থিত ওষুধের দোকান হক মেডিকো, বশির মেডিকো পরিদর্শন করেন এবং তাৎক্ষণিক কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তাদেরকেও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যথাসময়ে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। এদিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের দুইজন এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করলে রামু চৌমুহনীর অন্যান্য দোকানদাররা তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যেতে দেখা যায়।
লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে আর্মি টহলে দায়িত্বরত রামু উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দিন রামুর জোয়ারিয়ানালা, রশিদ নগর ও পার্শ্ববর্তী ঈদগাঁও এলাকায় বিভিন্ন পথচারী ও ব্যবসায়ী বিধিনিষেধ অমান্য কারী কে পৃথক পৃথকভাবে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় বলে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে রামু উপজেলা নির্বাহি অফিসার প্রণয় চাকমার নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম রামু চৌমুহনী স্টেশনসহ বিভিন্ন সড়কে টহল দিতে দেখা যায়।