মোঃ ফারুক, পেকুয়া:
কক্সবাজারের পেকুয়ায় দুইদিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। টৈটং ইউনিয়নের একটি ব্যস্ততম রাস্তা ভেঙে প্লাবিত হওয়ায় ১০হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়াও উপজেলার টৈটং উজানটিয়া রাজাখালী ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামীণ সড়ক দিয়ে পানি চলাচল করায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের ৪৫ গ্রাম, শিলখালীর ১০ গ্রাম, উজানটিয়ার ১০টি, রাজাখালীর ১২ গ্রাম, বারবাকিয়ার ৬ গ্রাম, পেকুয়া সদরের ৫ গ্রাম ও মগনামার ১২ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে দুই দিনের টানা বর্ষণে। পাহাড়ি ঢলের কারণে তলিয়ে গেছে মৎস্য ঘের, কাঁচা ও মাটির ঘরবাড়ি। ফলে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ উপজেলার টেটং ইউনিয়নের দরগামুড়া, রমিজ পাড়া, হাজির পাড়া, বটতলি, জুম পাড়া, বাজার পাড়া, ঢালার মুখ, মাঝের পাড়া, হিরাবুনিয়া পাড়া, হারকিলার ধারা, নতুন পাড়া, শের আলী মাস্টার পাড়া, ভিলেজার পাড়া, পশ্চিম টৈটং, রাজাখালী ইউনিয়নের সিকদার পাড়া, রায় বাপের পাড়া, মিয়ার পাড়া, লালজান পাড়া, সুন্দরী পাড়া, বখশিয়া ঘোনা, বামুলা পাড়া, উজানটিয়ার মিয়া পাড়া, ফেরাসিংগা পাড়া, ঘোষাল পাড়া, পেকুয়ার চর, করিমদাদ মিয়ার ঘাট এলাকা, বারবাকিয়ার কাদিমাকাটা, জালিয়াকাটা, পাহাড়িয়া খালীর একাংশ, ভারুয়াখালী, মগনামার বাইন্যা ঘোনা, শরৎঘোনা, কাজী মার্কেট, সদরের মেহেরনামা, হরিনাফাড়ি, সিরাদিয়াসহ উপজেলার প্রায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তবে কিছু কিছু জায়গায় গত ২৪ ঘন্টায় তেমন বৃষ্টি না হওয়ায় পানি নেমে যাচ্ছে। তবে বিভিন্ন গ্রামে এখনো জলাবদ্ধতা রয়েছে।

টৈটং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, তার ইউনিয়নের বেশিরভাগ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বেশ কয়েকটি গ্রামীণ সড়ক ভেঙে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। খাল ও ছড়াগুলো উম্মুক্ত না থাকার কারণে পানি নিস্কাশন হতে না পেরে পানিতে বন্দি রয়েছে তার ইউনিয়নের মানুষ। তিনি খাল খনন ও পাহাড়ী ছড়াগুলো উম্মুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

বারবাকিয়া ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আনিসুল হক বলেন, তার ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মৎস্য ঘের তলিয়ে গেছে।

এদিকে প্লাবিত হওয়ার খবর পেয়ে পেকুয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিকি মারমা, প্লাবিত অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ত্রাণ সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।