মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

কক্সবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসীর আওতাধীন জেলা সদরের সকল আদালতে বৃহস্পতিবার ১ জুলাই থেকে থেকে ৭ জুলাই বুধবার পর্যন্ত লকডাউন (কঠোর বিধিনিষেধ) চলাকালে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে জরুরী কার্যক্রম সম্পদানে দায়িত্ব পালনের জন্য ৫ জন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কক্সবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ের প্রশাসনিক শাখা থেকে বুধবার ৩০ জুন ৪৩ নম্বর স্মারক মূলে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (ভা:) রাজিব কুমার বিশ্বাস সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের জারীকৃত একইদিনের ২৭ নম্বর বিজ্ঞপ্তির নির্দেশনার আলোকে এ নিয়োগ প্রদান করেন।

কক্সবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভা:) মোহাম্মদ আশেক ইলাহী শাহজাহান নুরী সিবিএন-কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অফিস আদেশে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ১ জুলাই থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত কক্সবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসীর আওতাধীন জেলা সদরে অবস্থিত সকল আদালতে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জেরিন সুলতানা এবং ৬, ৭ জুলাই ২ দিন অপর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ দেলোয়ার হোসেন শামীম দায়িত্বে থাকবেন। এছাড়া, চকরিয়া চৌকি আদালতে একই আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার দেব, কুতুবদিয়া চৌকি আদালতে একই আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রেজাউল হক এবং মহেশখালী চৌকি আদালতে একই আদালতের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন জরুরী অত্যাবশ্যকীয় কাজ সম্পাদনের জন্য স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের দায়িত্ব পালন করবেন।

প্রসঙ্গত, দেশের সকল অধস্তন আদালত বৃহস্পতিবার ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই বুধবার পর্যন্ত বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। সারাদেশে উদ্ভুত করোনা (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবের কারণে বুধবার ৩০ জুন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো: আলী আকবর বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির পক্ষে ২৭/২০২১ নম্বর বিজ্ঞপ্তি মূলে এ ঘোষনা জারী করেন। এ বিজ্ঞপ্তিতে আইনের সহিত সাংঘাতে জড়িয়ে পড়া শিশুকে শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট উপস্থাপন, দি নিগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট এ্যাক্ট (চেকের মামলা) সহ যে সকল মামলা দায়ের ও আপীল দায়েরের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারিত আছে, সেসকল আইনের অধীনে মামলা শারীরিক উপস্থিতিতে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার ৭ দিনের মধ্যে তামাদীর মেয়াদ অক্ষুন্ন গণ্যে সংশ্লিষ্ট আদালতে দায়ের করা যাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।