এম বশির উল্লাহ, মহেশখালী:
কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর মৎস্যজীবী ও মৎস্য ব্যাবসায়ীদের কথা চিন্তা করে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নির্মাণ করা হচ্ছে সী-শোর আইস প্লান্ট নামে একটি বরফকল।
উপজেলার কুতুবজুমের ঘটিভাঙ্গা সোনাদিয়া ব্রীজের পাশে অবস্থিত এই বরফ কলটি বেসরকারী সংস্থা আইটি এল এর একটি সহযোগি প্রতিষ্টান বলে জানা গেছে।
দ্বীপের মৎস্যজীবি ও মৎস্য ব্যবসায়িদের জন্য কোন ভালো মানের বরফকল গড়ে উঠেনি দীঘ ২০ বছর ধরে।
পৌরসভার গোরকঘাটা বাজারের দিকে একটি বরফ কল ছিলো সেটি ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে, ফলে মহেশখালী উপকূলের ১৫হাজার জেলে কক্সবাজারে গিয়ে বরফ ক্রয় করতে বিভিন্ন সমস্যা পড়তে হয়।
জেলেদের দাবি, সাগর থেকে মাছ ধরে কক্সবাজার বা শহরে গিয়ে বিক্রি করতে তাদের বহু সমস্যায় পড়তে হয়। মহেশখালীতে যদি বরফ কলের পাশাপাশি একটি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র করা হয় তা হলে সরকারিভাবে যেমন প্রচুর রাজস্য আয় হবে তেমনিভাবে মহেশখালী উপকূলের জেলেদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটবে।
আইটি এল সংস্থাটির আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় বরফকলের জন্য একটি ২তলা বিশিষ্ট্য পাকা ভবন নির্মাণ এবং একসাথে ১ হাজার বরফ উৎপাদনের আধুনিক অন্যান্য যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে। নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে ৯০% সম্পন্ন হয়েছে। চলিত বছরের জুলাই মাসে এটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে।
কুুতবজুমের মৎস্যজীবী মো: রাশেদ বলেন, বরফের অভাবে অনেক সময় মাছ নষ্ট হয়ে যায়। তাই বাধ্য হয়ে আমরা কম দামে আমাদের আহরিত মাছ বিক্রি করে দিতে হয় প্রতিনিয়ত, এবার এখানে নতুন বরফকল নির্মাণ করা হচ্ছে এটি আমাদের জন্য অনেক সুখবর।
কুতুবজুম ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন খোকন বলেন, মহেশখালীর অধিকাংশ মৎস্যব্যবসায়ি কুতুবজুমের বাসিন্দা মহেশখালীতে বিকল্প আর কোনো বরফকল স্থাপিত না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে মৎস্য ব্যবসায়ীদের। তাদের দূর-দূরান্ত থেকে বরফ সংগ্রহ করে মৎস্য প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাত করতে হচ্ছে। দ্রত এই নতুন কলটি চালু হলে মহেশখালীর মৎস্যব্যবসায়িদের জন্য অনেক উপকার হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, উপকূলীয় এলাকায় জেলেদের সংখ্যা যেমন বেশি, তেমনি জেলেদের আহরিত মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্যও পর্যাপ্ত বরফ প্রয়োজন। এছাড়া এ এলাকায় একটি মৎস্য অবতরণকেন্দ্র করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এ সকল বিষয় বিবেচনা করে বরফকল স্থাপন করা এই এলাকায় জরুরি হয়ে পড়েছে।
আশেক উল্লাহ রফিক এমপি জানান, দ্বীপের অধিকাংশ মানুষ মৎস্যজীবী। এই পেশাকে টিকিয়ে রাখতে বরফকল জরুরি ছিল।ইতিমধ্যে বেসরকারী একটি সংস্থা শী-শোর আইস প্লান্ট নামে একটি বরফকল হতে যাচ্ছে যা এই এলাকার মৎস্যজীবি বা ব্যবসায়িদের জন্য অনেক সফল বয়ে আনবে।