সিবিএন ডেস্ক:
দেশে রেমিটেন্সের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এবং কম আমদানির কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ মঙ্গলবার (২৯ জুন) ৪৬ দশমিক শূন্য ৮২ বিলিয়ন ডলারে নতুন রেকর্ড গড়েছে। যা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) দিনশেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৫ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। ১ জুন (মঙ্গলবার) দিনশেষে প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়ায় ৪৫ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলারে। তার আগে ৩ মে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৫ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছিল। ২৪ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ দাঁড়িয়েছিল ৪৪ দশমিক শূন্য দুই বিলিয়ন ডলার।

২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ছিল ৪৩ বিলিয়ন ডলার, ১৫ ডিসেম্বর ৪২ মিলিয়ন এবং ২৮ অক্টোবর রিজার্ভ ৪১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল।

অন্যদিকে রিজার্ভে রপ্তানি আয়েরও প্রভাব আছে। চলতি বছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) পণ্য রপ্তানি থেকে ৩৫ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার আয় করে দেশ, যা তার আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি। অর্থাৎ ২০২০ সালের ১১ মাসে (জুলাই-মে) তিন হাজার ৯৫ কোটি ৯১ লাখ (৩০ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতি মাসে চার বিলিয়ন ডলার হিসাবে দেশের এ রিজার্ভ দিয়ে ১১ মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ থাকতে হয়।