অনলাইন ডেস্ক: নারীদের একইসঙ্গে একাধিক পুরুষকে বিয়ের স্বীকৃতি দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে এই বহুবিবাহ বৈধতা দেয়ার সরকারি প্রক্রিয়া নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার রক্ষণশীল জনগোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে রক্ষণশীলদের বরাতে বলা হয়েছে যে, এই প্রস্তাব কার্যকর হলে নারীরা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। যদিও জেন্ডার বিষয়ে দীর্ঘ গবেষণার সঙ্গে যুক্ত অধ্যাপক কলিস ম্যাকহোকো বিবিসিকে বলেছেন, রক্ষণশীলদের এমন ধারণা তাকে অবাক করেনি। আফ্রিকার সমাজ এখনো লৈঙ্গিক সমতার জন্য প্রস্তুত নয়।

কলিস ম্যাকহোকে আরও বলেন, নারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে চাওয়ার প্রবণতা থেকে আফ্রিকার বেশিরভাগ পুরুষ বেরিয়ে আসতে পারেননি। কিন্তু, দক্ষিণ আফ্রিকার সংবিধান উদারনীতিবাদের ভিত্তিতে প্রণীত। দেশটিতে অনেক আগে থেকেই সমলিঙ্গের মধ্যে বিয়ে এবং পুরুষদের বহুবিবাহ স্বীকৃত রয়েছে।

সম্প্রতি, নারীদের বহুবিবাহের স্বীকৃতি নিয়ে সরকারি পদক্ষেপ অনেক দূর এগিয়েছে। লক্ষণীয় ব্যাপার হলো, বহুবিবাহ করেছেন এমন অনেক পুরুষও নারীদের বহুবিবাহের বৈধতার বিপক্ষে দাঁড়িয়েছেন।

সেরকমই একজন হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যবসায়ী এবং টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব মুসা সেলেকু। তিনি নিজে চার বিয়ে করেছেন। কিন্তু, নারীদের বহুবিবাহের অনুমোদন দিলে আফ্রিকার সমাজ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়বে বলে মনে করেন তিনি।

এই টিভি রিয়েলিটি শো তারকা মুসার প্রশ্ন, নারীরা বহুবিবাহ করলে তার সন্তানদের পরিচয় কিভাবে নির্ধারিত হবে? নারীরা পুরুষের ভূমিকা নিতে চাইলেই তা সম্ভব হবে না। নারীরা বহুবিবাহ করলে স্বামীদের নামের শেষে কি তার পদবী যুক্ত হবে?

অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের এই প্রস্তাবনা গ্রিন পেপার নামে পরিচিতি পেয়েছে। প্রস্তাবনার ব্যাপারে এখন জনসাধারণের কাছ থেকে মন্তব্য নেয়া হচ্ছে। সেই সূত্রেই দক্ষিণ আফ্রিকার রক্ষণশীলদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে জানা গেছে।

যদিও দেশটির নারীবাদী সংগঠনগুলো দেশটির সরকারের এই বিতর্কিত সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের দাবি, এই সংস্কার প্রস্তাবকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই।