বলরাম দাশ অনুপম :
বিপুল উৎসাহ-উদ্দিপনা আর আনন্দঘন পরিবেশে পালন করা হয়েছে পৌর প্রিপ্যার‌্যাটরী উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি-২০০৩ ব্যাচের মিলনমেলা। দীর্ঘ ১৮ বছর পর এই মিলনমেলাকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে তৈরি হয়েছিল ছাত্র ও শিক্ষকদের মধ্যে সেতু বন্ধন। মিলনমেলাকে ঘিরে শুক্রবার সকাল থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে ২০০৩ ব্যাচের ছাত্ররা আসতে থাকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে। এ উপলক্ষে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনকে সাজানো হয়েছিল অপরূপ সাজে।

প্রকৃতিতে বর্ষার আমেজ। তবুও বৃষ্টিকে পেছনে ফেলে রোদের রং যত উজ্জ্বল হয়, একটু একটু করে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে বাতাসে। এরই মধ্যে স্মৃতিরোমন্থনে মিলনমেলায় একঝাঁক চির তরুণ। তাঁদের সবার বয়স ত্রিশের ঘরে। কিন্তু স্মৃতির আয়নায় চোখে-মুখে তারুণ্যের প্রকাশ যেন সেই স্কুল জীবনের বয়স। কেউ বন্ধুর গলা জড়িয়ে হাঁটছেন, কেউ বন্ধুকে পাশে নিয়ে সেলফি তুলছেন, চিরচেনা গানের সুরে নেচে-গেয়ে আনন্দে আত্মহারা অনেকেই। সকালে ২০০৩ ব্যাচের বন্ধুদের মধ্যে বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন সময়ের স্মৃতিচারণ, বিকেলে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পৌর প্রিপ্যার‌্যাটরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, আজকের এই মিলনমেলা আবারও শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করেছে। তিনি বলেন, আজ ১৮ বছর পর প্রিয় ছাত্রদের দেখে আমরা শিক্ষকেরা আনন্দিত। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর প্রিপ্যার‌্যাটরী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আ.ন.ম নুরুল আমিন, মৌলানা মোঃ ইদ্রিস, পরেশ কান্তি দে। এসএসসি ২০০৩ ব্যাচের ছাত্র সাংবাদিক বলরাম দাশ অনুপমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত মিলনমেলা অনুষ্ঠানে ছাত্রদের পক্ষে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন, মাষ্টার হান্নানুর রহমান, ব্যাংকার জসিম উদ্দিন, মোঃ হামিদ হোসেন ও মোঃ শহিদুল ইসলাম। আয়োজন কমিটির উদ্যোক্তারা মনে করছেন, এই মিলনমেলা হাসি-আনন্দের পাশাপাশি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সবার জন্য কাজ করবে, যেখানে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা এবং গঠনমূলক ও সমাজসেবামূলক কাজে অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি মাইলফলক তৈরি করবে।