সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় মোবাইলে গেম খেলার সময় ঝগড়ায় ছুরিকাঘাতে কাঠমিস্ত্রি আবদুল গণি প্রকাশ রকি (৩০) খুনের ঘটনায় জড়িত দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত গ্রেপ্তারকৃত দুই যুবক শনিবার রাতে চট্টগ্রাম চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের বারদোনা বালার পাড়ার মৃত খুলু মিয়ার ছেলে মো. শফিকুল আলম (২১) ও একই এলাকার শাহ আলমের ছেলে মো. সোহেল (২১)। গ্রেপ্তারকৃত আসামি শফিকুলের দেখানো মতে খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত ছুরি ও রকির ব্যবহৃত মোবাইল উদ্ধার করে পুলিশ।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার ২৪ জুন রাত দেড়টার দিকে সদর ইউনিয়নের বারদোনা দোভাষী পাড়ার বসুমতি দিঘীর পশ্চিমে নির্মিতব্য রেললাইনে বসে মোবাইল ফোনে ফ্রি-ফায়ার গেম খেলার সময় খুন হওয়া আবদুল গণি প্রকাশ রকিকে ঝগড়ার এক পর্যায়ে তার সাথে থাকা যুবকরা পেটে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। একই রাতে চমেক হাসপাতালে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রকি মারা যান। নিহত রকি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার হারবাং ৪ নং ওয়ার্ডের গোদার পাড় এলাকার আহামদ কবিরের ছেলে। (২৬ জুন) শনিবার সকালে নিহতের পিতা আহামদ কবির বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা আসামি করে সাতকানিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মুকিবুল হোসেন জানান, ঘটনায় জড়িত গ্রেপ্তারকৃত দুই যুবক কিভাবে ঘটনাটি সংগঠিত করেছে তার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে চট্টগ্রাম চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার ইকবালের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপর তরুণকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, নিহত আবদুল গণি মুঠোফোনে অনলাইনে গেম খেলায় আসক্ত ছিলেন। ঘটনার রাতে নিহত আবদুল গনিসহ তিন তরুণ নির্মাণাধীন রেললাইনের ওপর একসঙ্গে অনলাইনে গেম খেলছিলেন। এক পর্যায়ে গেম খেলা নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ওই ঝগড়ার জের ধরে ও মুঠোফোন সেটটি ছিনিয়ে নিতে আবদুল গনির পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়। এতেই তিনি মারা গেছেন। গ্রেপ্তারকৃত দুই তরুণ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।