চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানাধীন শিকলবাহা খালে নির্মাণাধীন কালারপোল ব্রিজের রেলিং ধসে পড়ে ২ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। আহত দুই শ্রমিক কে উদ্ধার করে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে যান বলে প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান।

আহত শ্রমিকেরা হলেন-মোঃ বিপুল (৩৬) ও মোঃ মফিজ (৩৫)। বর্তমানে এরা উপজেলার কলেজবাজারস্থ সাউথ চট্টগ্রাম
হসপিটালে চিকিৎসারত রয়েছেন।

জানা যায়, এদের মাথায় ও পায়ে প্রচন্ড আঘাত রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম সাউথ হসপিটালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাঃ ইফতেকার উদ্দিন।

ঘটনাসূত্রে জানা যায়, হঠাৎ করে সন্ধ্যায় ব্রীজের রেলিংয়ের তিনটি অংশ শিকলবাহা খালে ধসে পড়ে। হঠাৎ প্রচন্ড শব্দ শুনে এলাকার লোকজন দৌড়ে যান। পরে দেখেন ব্রিজের রেলিং ধসে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, ক্রুটিপূর্ণ নির্মাণ কাজের কারণে এ ধসের ঘটনা ঘটেছে।

কালার পোল পুলিশ ফাড়ির আইসি ইন্সেপেক্টর মোঃ সুলেয়মান জানান, ঘটনাটি শুনেছি। ব্রিজের কাজ করার সময় হঠাৎ রেলিং ধসে পড়ে ওখানকার দুইজন শ্রমিক আহত হয়েছেন। এরা এখন কর্ণফুলীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

একই কথা জানালেন শিকলবাহা পুলিশ ফাড়ির আইসি এসআই মোঃ কামাল জানান, ব্রিজের কাজ করার সময় রেলিং ভেঙ্গে পড়ে দুইজন শ্রমিক আহত হয়েছেন। এরা কর্ণফুলীর সাইথ চট্টগ্রাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ব্রিজের কাজের কর্মরত সাইট ইঞ্জিনিয়ার টিটুর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

তথ্য পাওয়া যায়, ১৯৯৫ সালে শিকলবাহা খালে প্রথম সেতু নির্মাণ হয়। এটি ২০০৭ সালের ১৮ নভেম্বর একটি কারখানার টিনের কয়েল বোঝাই বার্জের আঘাতে সেতুর ৩য় ও ৪র্থ স্প্যান নদীতে পড়ে যায়। সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) ২০০৯ সালের এপ্রিলে কংক্রিট বেইজড গার্ডার সেতু নির্মাণের জন্য ২১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

পরে পটিয়ার সাংসদ হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর সহযোগিতায় ২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে পাকা সেতু নির্মাণে আরেক দফা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০১৭ সালে কাজের টেন্ডার হয়। ২০১৯ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজের ধীরগতির কারণে যথাসময়ে কাজ শেষ হয়নি। ফলে সড়ক বিভাগ কাজের মেয়াদ দু’বার বৃদ্ধি করে। ২০২০ সালের ৩০ জুনেও কাজ শেষ না হওয়ায় ফের সময় বর্ধিত করা হয়।