মোঃ নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় পারিবারিক কলহের জের ধরে পুত্রবধুর ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার ৩ দিন পর রোকেয়া বেগম (৫৫) নামে এক শাশুড়ি মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি উপজেলার খাগরিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মৈশামুড়া মুন্দার পাড়ার ইলিয়াছ চৌধুরীর স্ত্রী। ঘটনার পর পর জনতা কর্তৃক ধৃত পুত্র বধু নাজমিন আক্তার (২৩) বর্তমানে চট্টগ্রাম জেলা কারাগারে রয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (২১ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে শাশুড়ি রোকেয়ার সাথে পুত্রবধু নাজমিনের তর্কাতর্কির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে নাজমিন তার শাশুড়িকে ছুরি দিয়ে পেট ও হাতে এলোপাতাড়ি আঘাত করে গুরুতর জখম করে। চিৎকার শুনে স্থানীয়রা আহত রোকেয়াকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখান থেকে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালে ৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শাশুড়ি রোকেয়া মারা যান।

অন্যদিকে, ঘটনার পরপর পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা পুত্রবধু নাজমিনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। ঘটনার রাতে মৃত রোকেয়ার স্বামী ইলিয়াছ চৌধুরী বাদি হয়ে পুত্রবধুকে একমাত্র আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি এ প্রতিবেদককে বলেন, পুত্রবধু নাজমিন প্রায় সময় মোবাইলে অজ্ঞাত পুরুষের সাথে কথা বলত। বিভিন্ন সময় শ্বশুড়-শাশুড়ি তাকে নিষেধ করলেও সে শুনেনি। এ নিয়ে শুরু হয় পারিবারিক কলহ। ঘটনার দিন সন্ধ্যার দিকে পুত্রবধু বাবার বাড়ি থেকে মৈশামুড়া শ্বশুর বাড়িতে আসে। এ সময় শাশুড়ির সাথে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে পুত্রবধু শাশুড়িকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে।

সাতকানিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পুত্রবধুকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। পরদিন মঙ্গলবার পুত্রবধুকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। পুত্র বধুকে ৭ দিনের রিমান্ডের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।