বার্তা পরিবেশক:

কক্সবাজার সদরের পিএমখালীতে জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীদের হামলায় সিকান্দর (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। একই সাথে ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন ৭ জন ব্যক্তি। নিহত ব্যক্তি ঝুমছড়ি এলাকার মৃত কালামিয়ার ছেলে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পিএমখালী চেংরাঘর মাছ বাজারের পাশে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা আশাংকাজনক দেখে সিকান্দরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সেখানে নেওয়ার পথে মৃত্যুরকোলে ঢলে পড়েন সিকান্দর। অন্যান্য আহতরা কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ৫ম তলায় ভর্তি রয়েছেন। আহতরা হলেন, স্থানীয় মৃত বকসুর ছেলে ৬০ বছরের বৃদ্ধ নৃরুল ইসলাম, নুরুল আমিন (৫০), শাহ আলম, বেদার মিয়া, শাহাজাহান এবং  সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হওয়া সিকান্দরের ছেলে মোহাম্মদ শাহেদ।

আহতরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে জমির বিরোধ ছিলো দুই পক্ষের মাঝে। বৃহস্পতিবার রশিদ আহমদের লোকজন বিরোধপূর্ণ ওই জমি দখল নিতে যায়। টিনের ঘেরা-বেড়া দেয়ার সময় সিকান্দরের লোকজন বাঁধা দিতে গেলে তাদের উপর হামলা করে রশিদ আহমদের লোকজন। ওই সময় ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে আগে থেকে উৎপেতে ছিল তারা। যদিও ওই জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।

হাসপাতালের বিছানায় আহত বৃদ্ধ নুরুল ইসলাম বলেন, সকাল বেলা সিকান্দরের দখলে থাকা জমিটি টিনের ঘেরা দিতে যায় সন্ত্রাসীদের দিয়ে। এতে বাধা দিতে গেলে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে। ধারালো ছুরি, লম্বা কিরিচ এবং বন্দুক নিয়ে তাদের উপর আক্রমণ করে বলে দাবী করছেন তিনি।

যারা হামলা করেছেন তাদের প্রত্যেককে চিনতে পেরেছেন আহতরা। হামলাকারীরা হলেন, রহমত উল্লাহ, সলিম উল্লাহ, রহিম উল্লাহ, রশিদ আহমদ, নুরুল ইসলাম লুদু, লাল মিয়া, মোর্শেদ, সোহেল, ছৈয়দসহ ২০ থেকে ২৫ জনের অস্ত্রশস্ত্র লোকজন। এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি শেখ মনিরুল গিয়াসের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র দে জানান, চেরাংঘরে সৃষ্ট ঘটনায় একজন নিহত হওয়ার খবর আছে এবং এই ঘটনায় সোহেল নামের একজন আটক আছেন।

ওসি তদন্ত জানান, নিহতদের পরিবার থেকে এজাহার জমা দিলেই মামলা নেয়া হবে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।