ইমাম খাইর, সিবিএন:
কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে ২০৮ পিস ইয়াবা, এক বোতল স্কচ হুইস্কি (বিদেশী মদ)সহ আটক দুইজনের পরিচয় মিলেছে।
কক্সবাজার নিউজ ডটকম (সিবিএন)এর অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে তাদের তথ্য। বিস্তারিত জানিয়েছেন ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) অধিনায়ক এসপি মো. নাইমুল হক।
তিনি বলেন, পার্থ প্রতিম সাহা (৩৬) টাঙ্গাইল সদরের রেজি:পাড়ার গোপাল চন্দ্র সাহার পুত্র। সে ভারতে  একটি মাইক্রোসফট কোম্পানিতে চাকুরি করে। বাড়ি টাঙ্গাইল হলেও থাকে ভারতে। কভিডের কারণে চার মাস মতো আগে দেশে এসেছে।
এলিজা আক্তার (২৩) ঢাকা গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার মোল্যাপাড়া চান্দরার বাবুল মিয়ার মেয়ে। সে ঢাকা উত্তরায় অবস্থিত আইইউবিএটি নামক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি (অনার্স) শেষ বর্ষের ছাত্রী।
তাদের দুইজনের বন্ধুত্ব। পরিচয়সুত্রে তারা কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছে।
বুধবার (২৩ জুন) সকাল সাড়ে ১১টায় বিমান বন্দরের বহির্গমন লাউঞ্জের ভেতর থেকে  তাদেরকে আটক করা হয়।
আটকের সময় তাদের নিকট থেকে নগদ দেড় লক্ষ টাকা, ৫০০ ইউএস ডলার এবং একটি পাসপোর্টও উদ্ধার করা হয়েছে।
এ সংক্রান্তে ইতোমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যম সংবাদও করেছে।
তবে, এসব সংবাদ দেখে রীতিমতো বিস্মিত হয়েছেন ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক এসপি মো. নাইমুল হক।
তিনি বলেন, বিষয়টি বুঝতে পারিনি। এদের এনজিওকর্মী বলে প্রচার করলো কারা? এরা তো এনজিওকর্মী না।
আমাদের কাছ থেকে যারা নিউজ নিয়েছে; কথা বলেছে, তারা রিয়েল নিউজটি করেছে। যারা আমাদের কাছ থেকে নিউজ নেয় নি, তারা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জেনে উল্টাপাল্টা ছেপে দিয়েছে।
১৪ এপিবিএন অধিনায়ক বলেন, অনেকে আমাকে জানালো, এনজিওকর্মী নামে নাকি নিউজ এসেছে। আসলে এরা এনজিওকর্মী না।
নগদ দেড় লক্ষ টাকার বিষয়ে পার্থ প্রতিম সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। উত্তরে সে জানায়, আটকের আগের দিন এটিএম বুথ থেকে টাকাগুলো উত্তোলন করেছিল। তবে, এত টাকা কেন উত্তোলন করেছে, তার সঠিক উত্তর দিতে পারে নি।
এসপি মো. নাইমুল হক বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, ইয়াবা কেনার পর টাকাগুলো হাতে থেকে গিয়েছিল।
এ দিকে, ইয়াবা ও বিদেশী মদসহ আটক দুইজনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেছেন ১৪ এপিবিএনের এসআই মোঃ নুরুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র দে।
তিনি বলেন, ইয়াবা, মদের বোতলসহ দুইজনকে আটকের ঘটনায় ১৪ এপিবিএনের একজন কর্মকর্তা বাদি হয়ে মামলা দিয়েছেন। মামলাটি থানায় রেকর্ড হয়েছে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।