অধ্যাপক রায়হান উদ্দিন

(ইসমাঈল হোসেন শিরাজীর কাব্য প্রতিভা)

কবি ইসমাঈল হোসেন শিরাজী পাবণা জেলার অন্তর্গত সিরাজগঞ্জে ১৮৮০ সালে ১৩ ই জুলাই শুক্রবার জন্মগ্রহণ করেন। তাঁহার পিতা শাহ  সৈয়দ আবদুল করিম ও মাতা নুরজাহান খানুম।১৮৮৫ সালে ৫ বৎসর ৬ মাস বয়ঃμমের সময় শিরাজী গ্রামস্থ পাঠশালায় ভতির্ হন। ছোট বেলা হইতেই লোখাপড়ার প্রতি তাঁহার স্বাভাবিক ঝোঁক দেখা গিয়েছিল।পাঠশালার পড়া শেষ করিয়া সিরাজী জ্ঞানদায়িনী মাইনর স্কুলে ভতির্ হন। এই সময় হইতেই তিনি তৎকালীন বিখ্যাত সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘সুধাকর‘ পড়তে থাকেন। নিয়মিতসংবাদ পত্র পাঠ তাঁহার জীবনে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করেছিল।

সিরাজী যখন পঞ্চমশ্রেনীর ছাত্র , তখন স্কুলে একটি ইংরেজী কবিতার বাংলা অনুবাদ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সিরাজী ইহাতে অংশ গ্রহণ করেন এবং পুরস্কৃত হন।এই সময়ে জ্ঞানদায়িনী স্কুলে বাবু রাসমোহন নাথ প্রধান শিক্ষকপদে নিযুক্ত হয়ে আসলেন। তিনি রচনা ও বক্তৃতা শিক্ষা দিবার জন্য ‘জ্ঞানদায়িনী ছাত্র সমিতি‘র প্রতিষ্টা করেন। প্রত্যেক শনিবার এই সমিতির সভা হতো। সিরাজী এই ছাত্র সমিতির বিভিন জনসভায় বক্তৃতা দিবার চেষ্ঠা করতেন। জ্ঞানদায়িনী ছাত্র সমিতির এক সভায় ছাত্ররা নিজ নিজ ভ্রমনবৃত্তাš Í লিখিবার জন্য আদিস্ট হলে শিরাজী লিখলেনঃ

“বর্ষায় সিরাজগঞ্জের ধানবাদী নদী যখন উদ্বেলিত হইয়া খরতরঙ্গে বহিয়া যাইতেছিল- চাঁদ যখন নীল আকাশের পটে বসিয়া জ্যোছনা ছড়াইয়া নদীবুকে স্বর্ণবৃস্টি করিতেছিল- নদীর তীরের বটগাছের পাতাগুলি চাঁদের কিরণে চিক্চিক ্ করিয়া জ্বলিতেছিল এবং মৃদু বায়ুর তাড়েেন এই পাতাগুলি যখন আনন্দে করতালি দিতেছিল , যখন নানা দেশীয় নৌকাগুলি দুই পারে আবদ্ধ হইয়া তরঙ্গের তালে তালে দুলিতেছিল, দুই পারের জনকোলাহল যখন থামিয়া গিয়াছিল রাত্রির আহারান্তে আমরা ঠিক সেই সময় নৌকায় আরোহণ করিলাম। “শিরাজী তাঁহার নানাজানের সহিত একবার শাহদজাদপুর গিয়ে ছিলেন। এই ভ্রমণবৃত্তান্ত অবলম্বনেই তিনি উক্ত রচনা লিপিবদ্ধ করেন। এই রচনায় তিনি শাহদজাদপুরের প্রসিদ্ধ তাপস হযরত শাহমাখদুম ও তাঁহার কীর্তিকলাপ এবং শাহজাদপুরের পুরাকীর্তির বিষয় বর্ণনা করেন। এই রচনা শ্রবণে সকলেই আনন্দিত হয়ে ছিলেন। জ্ঞানদায়িনী স্কুল হইতে মধ্য ইংরেজী পরীক্ষায় উত্তীনর্ হইয়া শিরাজী সিরাজগঞ্জেরবি, এল হাই স্কুলে ভতির্ হলেন। তিনি তখন বিখ্যাাত কবি সাহিত্যিকগনের গ্রন্থাবলী এবং মহাপুরুষ গণের জীবনকাহিনী পাঠ করতে লাগলেন। প্রাচ্যের মুক্তিদাতা সৈয়দ জামালউদ্দিন আফগানীর জবন চরিত তাঁহার জীবনে বিশেষ প্রভাব বি¯তার করিল । তিনি তুরস্কেযাইবার জন্য বিশেষ ব্যগ্র হয়ে উঠলেন। ১৩০২ সালের শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথির শেষরজনীতে তাঁহার অন্যতাম সুহৃদ ইসমাইল মিঞা সহ সামান্য কিছু অথর্ ও কাপড় চোপড় নিয়ে তিনি বাড়ী হতে যাত্রা করলেন এবং কলিকাতায় প্রবীন সাহিত্যিক মুনশী রেয়াজউদ্দিন সাহেবের বাসায় উঠলেন। মুনশী সাহেব শিরাজীর উচ্চ সংকল্প এবং তুরস্ক গমনের দৃঢতা দেখিয়া বিম্মিত হলেন। কিন্তুু তিনি কোন প্রকার আর্থিক সাহায্য করিতে সমর্থ হলেন না।এদিক ওদিক ঘুরেফিরে বিফলমনোরথ হয়ে ৪২ দিন পরে শিরাজী বাড়ীতে প্রত্যাবর্তন করেন। সঙ্কল্প – এস্ট্রান্স পরীক্ষা দিয়েই তুরস্কে যাবেন।বাল্যাবধিই শিরাজীল আত্মসম্মান ও জাতীয় চেতনাবোধ ছিল প্রখর। শিরাজী যখন বি, এল , স্কুলেন ছাত্র, তখন সৌভাগ্যμমে বাংলার মুসলমানদের গৌরব যশোহরের কর্মবীর মুনশী মোহাম্মদ মোহেরুল্লাহ ্ সিরাজগঞ্জে আগমন করেন। তাঁহার আগমন উপলক্ষে একটি জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় শিরাজী একটিকবিতা পাঠ করেন।উক্ত কবিতা শ্রবনে মুনশী সাহেব খুবই খুশি হয়েছিলেন।এবং ১৩০৬ সালে ইহা পুস্তকারে প্রকাশ করা হয়।ইহাই শিরাজীর “অনল প্রবাহ“ কাব্যের প্রথম মসংস্করন।শিরাজী কর্মক্ষেত্রে অবতীনর্ হলেন এবং অধঃপতিত মুসলমান সমাজেরউন্নতিবিধানকল্পে সাহিত্যচর্চায় আত্মনিয়োগ করলেন।বাংলার মুসলমান সাহিত্য চর্চা করে না, এই দৃশ্য শিরাজীর হৃদয়কে অভিভুতকরেছিল। তিনি লিখলেন, “অধুনা নূন্যপক্ষে আমাদের সমাজে অর্ধডজনেরও বেশী গ্রাজুয়েটের উদয় হইয়াছে। ইহারা কি শুধু চাকরি করিয়া আর ঘুমাইয়া সময় কাটান?

অবসর সময়ে কিঞ্চিত সাহিত্য সাধনা করিলেই ত জাতির কত উপকার হয়। তাঁহারা নানা ভাষা হইতে জ্ঞান আহরণ করিয়া আমাদের সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করিতে পারেন।“মাতৃভাষা সম্পকের্ শিরাজী লিখিয়াছিলেনঃ“ যে ভাষায় কোনও জাতি মাতৃগভর্ হইতে ভুমিষ্ঠ হইয়া কথোকপথন করে , বড় হইয়া মনের সুখঃদুখ এবং কল্পনা ও খেয়ালের কথা ব্যক্ত করে, তাহাই সেই জাতির মাতৃভাষা।…. কিš ‘ হায়! বাঙ্গালার বিরাট মুসলমান সামাজ আজও বাঙ্গালার চর্চায় উদাসীন ও সন্ধিগ্ধ রহিয়া প্রতিযোগিতাক্ষেত্রে অনেক পশ্চাতে পড়িয়া রহিয়াছেন। ভাগ্যে ফারসী ও আরবী নবিশ পন্ডিতদিগের মধ্যে অনেকেই বাঙ্গালায় পুঁথি- পুস্তক ও কেচ্ছা কাহিনী লিখিয়া গিয়াছিলেন, তাই বাঙ্গালী মুসলমানের ধমনীতে ইসলামী জোশ ও কওমী হামদদ্দীর্ কিছু বিদ্যমান আছে। কমীর্ ও বুদ্ধিমান জাতি যাহা আছে ,যাহা হইতে পারে,তাহা লইয়াই সে উঠিতে চাহে। আর অলস ও বেওকুফ জাতি কি হইলে ভাল হইত ;অথচ যাহা হইতে পারেনা, এইরূপ বেফাইদা খেয়াল লইয়া মাথা ঘামাইয়া সময়ও সুযোগ নষ্ট করে মাত্র। আঙ্গুর ভালফল হইলেও বাঙ্গালার জলবায়ূ ও মাটিতে তাহা কখনও কাশ্মীরের মত পয়দা হইবে না। পয়দা হইলেও তাহা এত সামান্য এসং এত টক হইবে যে, তাহা সবর্ সাধারণের প্রাপ্য ও ভোগ্য হইবার কদাপি সম্ভাবনা নাই। সুতারাং আঙ্গুরের চাষের চেষ্টা পরিত্যাগ করিয়া বাংলার মাটিতে আমকাঠালের চাষ করাই বুদ্ধিমানের কাজ।……. বাংলা শুধু হিন্দুদিগেরই, এরুপ কথার কোন মুল্য নাই । বাংলার ভুমি, বাংলার জল, বাংলার ফলমুল ও বাংলার বায়ুতে যেমন হিন্দুর অধিকার, তাহা অপেক্ষা আমাদের অধিকার কোন অংশেই কম নহে, বরং জনসংখ্যা ও পরিশ্রমের দিক দিয়া বেশী। সেইরুপ বাংলা ভাষাতে আমাদের স্বত ¡ স্বামীত ¡ হিন্দুর অপেক্ষা কম না হইয়া বেশী হইবে । যে ভাষার ‘মা‘ কথাটি সংস্কৃত মাতা বা অম্বা হইতে আসিলেও বা আসার দাবী করিলে এসং সে দাবীতে ডিμি দিলেও “বাবা“ কথাটি যখন একবোরেই খাস তুকীর্ হইতেছে ,সে ভাষাতে নিজের দাবী ত্যাগ করা অদুরদর্শীতা ব্যতীত আর কিছুই নহে। ফলতঃ মোসলিম আগমনের পুবের্ বাংলা ভাষায় একখানি বইও রচিত হয়নাই“। বাঙ্গালী মুসলমান লেখকদিগের কর্তব্য সম্বন্ধে শিরাজী লিখলেনঃ “তাঁহারা যথাসাধ্য বাঙ্গলা ভাষার মস্তকে এবং অঙ্গে ইসলামী পোষাক এবং তাজ বা টুপি বজায় রাখেন। বাংলা ভাষা সংস্কৃত,প্রাকৃত,হিন্দী,আরবী,পাশীর্ এবং তুর্কী সংমিশণ্র জনিত মিশ্রভাষা বলিয়া তাহাতে সং¯কৃতের তিলকফোটা কাটিবার যেমন দখল আছে, তেমনি আরবী ফারসীর জেওরাতে তাঁহার জেসমানী ও রুহানী খুবী বাড়াইবার ও হক ্ আছে“। শিরাজী শুধু উপদেশ দিয়াই ক্ষান্ত ছিলেন না,তিনি তাঁহার জীবনব্যাপী সাধনা দ¦ারা বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্যতে এক নব যুগের সৃষ্টি করলেন। একটা ঘুমš Í জাতিকে সাহিত্যের মাধ্যমে জাগাইয়া তুলিবার জন্য যে শক্তি ও বলিষ্টতার প্রয়োজন, ইসমাইল হোসেন শিরাজী মধ্যে তাহা ছিল। তাঁহার রচিত অনল প্রবাহ, নব উদ্দীপনা, উদ্বোধন,উচ্ছাস,স্পেনবিজয়,প্রেমাঞ্জলী,পুস্পাঞ্জলী, কুসুমাঞ্জলী,সঙ্গীতজীবনী,কাব্য কুসুমোদ্যান,মহাশিক্ষা, প্রভৃতি কাব্য ও গান, সুচিন্তা, স্ত্রীশিক্ষা, তুরস্ক ভ্রমন, স্পেনীয় মুসলমান সভ্যতা, আদব কায়দা শিক্ষা, তুর্কী নারীজীবন প্রভৃতি গদ্য গ্রন্থ রায় নন্দিনী তারাবাঈ,নীরউদ্দীন, ফিরোজা বেগম, প্রভৃতি উপন্যাস, নূর নামক মাসিক পত্রিকা ইহার জলš Íসাক্ষর।

বঙ্গ ভঙ্গ আন্দোলনের সময়ে শিরাজী বিখ্যাত অনল প্রবাহ কাব্যের দ্বিতীয় সংস্করণ পরিবর্ধিত আকিারে প্রকাশিত হয়। বৃটিশ সরকার উহার আবির্ভাব সহ্য করতে পারলেন না। ‘অনল প্রবাহ‘ বাজেয়াপ্ত হল। উহার প্রকাশ ও মুদ্রণের জন্য কলিকাতা ছোলতান বুক এজেন্সী, নব্য ভারত প্রেস, মওলানা এছলামাবাদীরর বাসা ও সিরাজগঞ্জ শিরাজীর বাসভবন “বাণীকুঞ্জ“ খানা তল−াসী করে পুলিশ সমস্থ পু¯তক নিয়া গেলেন।শিরাজী১১৪(ক), ১১৭,১৫৩ ধারায় অভিযুক্ত হলেন। তাঁহার পক্ষ অবলম্বন করিলেন মি ঃ বি, সি চাটাজীর্(পরবর্তীতে যিনি ভাওয়াল সন্যাসীর মামলায় সন্যাসীর পক্ষ অবলম্বন করিয়া বিশ্ববিখ্যাত হইয়াছিলেন) । দীর্ঘকাল মামালা চলিবার পর তদানীন্তন প্রেসিডেন্সী ম্যাজিস্ট্রেট মিঃ সুইন হো ১৯১০ খৃঃ তাঁহাকে দুই বৎসর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করলেন।

সিরাজী তুরক্ষে অবস্থান কালীন ‘বাবে আলী‘ তে একটি সভায় বক্তৃতা করিয়া সুযশ অর্জন করেন। সেই বক্তৃতার খবর তুরস্কের বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হওযায় তাঁহার নাম বিভিন্ন স্থানের লোক জানিতে পারিল।তুরস্কে অবস্থানের সময়েও শিরাজীর সাহিত্য চর্চা ব্যাহত হয় নাই। সেখান হইতেও তিনি নিয়মিত কবিতা, প্রবন্ধ ও ভ্রমনবৃত্তান্ত এখানকার পত্রিকায় পাঠাইতেন। তাঁহার সেই সমস্থ লেখা‘সুপ্রভাত‘ সঞ্জীবনী ও সাপ্তাহিক মোহাম্মদী‘ পত্রিকায় বাহির হইয়াছিল ।এখান হইতেও অনেকে শিরাজীকে উৎসাহিত করিয়া পত্রাদি প্রেরণ করেন।সুপ্রভাতের‘সম্পাদিকা কুমুদিনি মিত্র লিখিয়াছিলেনঃ “আপনার কবিতা পড়িয়া পরম পুলকিত হইয়াছি। আপনি যে ঐ সুদুর দেশে থাকিয়াও সুপ্রভাতকে বিস্মৃত হন নাই, ইহাতে অত্যান্ত আনন্দিত হইয়াছি। আপনার কবিতাটি ‘সুপ্রভাতে‘ বাহির হইবে। তুরস্কের নারীদিগের অতীত ও বর্তমান অবস্থা স্বদেশের কাযের্ ও উন্নতিতে তাহাদের সাহায্য দান,তাহাদের শিক্ষা ও স্বদেশপ্রেম প্রভৃতি সম্মন্ধ লিাখা শীঘ্রই পাঠাইবেন। ভারতবষর্ হইতে যে সকল যুবক আহতদিগের সেবার জন্য তথায় গমন করিয়াছেন, তাঁহাদের কার্যের বিষয় লিখিবেন। আপনার ন্যায় একশত আত্মত্যাগী যুবক দন্ডায়মান হইলে ভারতবর্ষের দু:খের রজনী অচিরাৎ দুর হইবে বলিয়া বিশ্বাস করি। এইরূপ আত্মত্যাগের জীবনই ধন্য।“তুরস্কে অবস্থানকালে শিরাজী সেখানকার ভর্জমান, সাবা, ও আলমাদার, পত্রিকার সম্পাদকদের সহিত দেখা সাক্ষাৎ করেন এবং নানা বিষয়ের প্রস্তাব করেন।

১৩৩০ সালে সিরাজগঞ্জে যে প্রাদেশিক রাস্ট্রিয় সম্মেলন হয় , তাহাতে মতদ্বৈততাহওয়ায় শিরাজী বঙ্গীয় মুসলিম সম্মেলন আহ্বান করেন। স্থানীয় মুসলমান কর্মীরাতাঁহাকে অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতি পদে বরণ করেন। সম্মেলনটি পন্ড করিয়া দিবারজন্য তাহাকে অর্থের প্রলোভন দেখান হয়। শিরাজী অথর্ প্রলোভনে বিন্দুমাত্রও প্রলোভিত না হইয়া বলিয়াছিলেনঃ আমি দেশদ্রোহী নহি, কোন স্বার্থপ্রণোদিত হইয়া এই মুসলিম মহাসভা আহ্বান করি নাই। আমি আমার স্বাতন্ত্র্য এবং সত্তা ও আত্মসম্মান রক্ষার্থেই এই স্বতন্ত্র কনফারেন্সের আয়োজনে ব্যাপৃত হইয়াছি।

শিরাজীর প্রসিদ্ধ কাব্য গ্রš;’ ১৩০৬ সালে আহা প্রথম পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয়। বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় ইহার দ্বিতীয় সংস্করণ পরিবির্ধত আকারে প্রকাশিত হয় কিন্তু বৃটিশ সরকার ইহা বাজেয়াপ্ত করেন এবং কবিকে দুই বৎসর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন। বর্তমানে কাব্যখানির পুণর্মুদ্রন হইয়াছে। অনলপ্রবাহ লেখার নমুনা দিতেছিঃ

“যে জাতি জগতে আলো ছড়াইল,

বীর দাপে যার ভুবন কাঁপিল

জগত যাদের চরণে লুটিল।