মো. রাসেল ইসলাম, বেনাপোল:
বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি করা ২৬ কেজি ভায়াগ্রার একটি চালান আটক করেছেন কাস্টমস। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

বুধবার (২৩ জুন) দুপুরে বেনাপোল স্থল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার ভায়াগ্রা চালান আটকের তথ্য নিশ্চিত করে জানান, কাস্টমস এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়ে পণ্য চালানটি নিজেদের জিম্মায় নিয়েছে। পরবর্তী ব্যবস্থা তারা গ্রহণ করবেন।

এর আগে গত ২০ জুন বিকেলে বেনাপোল বন্দরের ৪২ নম্বর গুদাম থেকে ভায়াগ্রার চালানটি জব্দ করেন কাস্টমস সদস্যরা। দুইদিন ল্যাবে পরীক্ষা শেষে প্রাথমিক পরীক্ষায় এটি ভায়াগ্রা বলে নিশ্চিত হন তারা।

মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ভায়াগ্রা আমদানি করে যশোরের মামনি এন্টারপ্রাইজ। পণ্যটি বন্দর থেকে ছাড় করানোর চেষ্টা করছিলেন বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আমিন ইমপোর্টস অ্যান্ড এক্সপোর্টস।

বেনাপোল কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার অনুপম চাকমা জানান, গত ৩১ মে আমদানিকারক মোটর পার্টস অ্যান্ড আদার্স এক ঘোষণায় ভারত থেকে ৩০১ প্যাকেজ পণ্য আমদানি করে বেনাপোল বন্দরের ৪২ নম্বর পণ্যাগারে রাখে। পরবর্তীতে পরীক্ষায় দেখা যায়, ৩০১ প্যাকেজের মধ্যে ১১৪ নম্বর প্যাকেজে পাউডার জাতীয় ২৬.২১ কেজি পণ্য রয়েছে। পরে সেটি কাস্টম হাউজের রাসায়নিক পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা করে প্রাথমিকভাবে ভায়াগ্রা শনাক্ত হয়।

তিনি আরও জানান, আমদানিকৃত পণ্যটি আমদানি নিষিদ্ধ সেজন্য জনস্বার্থে নিরাপত্তার জন্য ৪২ নম্বর পণ্যাগার থেকে বন্দরের অনুমতি নিয়ে কাস্টমসের হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

বেনাপোল বন্দরের একটি সূত্র জানায়, এক ধরনের দুর্নীতিবাজ চোরাচালান ব্যবসায়ী সেজে দীর্ঘদিন ধরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে বৈধ পথে মিথ্যা ঘোষণায় ভায়াগ্রা পাচার করে আসছেন।

এর আগে ২০১৯ সালের ২৪ জুলাই ২০০ কেজি ও একই সালের ৭ আগস্ট দুই হাজার ৫শ কেজি ভায়াগ্রা পাউডারের আরও একটি চালান আটক করেন বেনাপোল শুল্ক কর্মকর্তারা। যার বাজারমূল্য প্রায় ১৪ কোটি টাকা। তবে আমদানিকারকসহ সংশ্লিস্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় বৈধ পথে থামেনি অবৈধ ভায়াগ্রা আমদানি।