মমতাজ উদ্দিন আহমদ, আলীকদম (বান্দরবান):
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় মোহাম্মদ ওমর ফারুক (৪৫) নামে মসজিদের এক ইমামকে পাহাড়ি সন্ত্রাসী কর্তৃক হত্যার প্রতিবাদে আলীকদম উপজেলায় পার্বত্য নাগরিক পরিষদ, উপজাতীয় মুসলিম আদর্শ সংস্থা বাংলাদেশ ও সর্বস্তরের জনসাধারণের উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২২জুন) বিকাল চারটায় আলীকদম প্রেসক্লাব চত্ত্বরে সম্মিলিতভাবে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের বান্দরবান জেলার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী মুজিবুর রহমান। অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ, বান্দরবান জেলার সেক্রেটারী নাছিরুল আলম, বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ, বান্দরবান জেলার সভাপতি মিজানুর রহমান, কেন্দ্রীয় ছাত্র পরিষদ নেতা আসিফ ইকবাল, ডাঃ মোহাম্মদ ইউসুফ, নুরুল আলম, ওমর ফারুক, জাহিদ ইমন, সাইফুল ইসলাম, আব্দুল আইয়াছ প্রমুখ।

উল্লেখ্য গত শুক্রবার (১৮ জুন) রাত সাড়ে ৮টায় রোয়াংছড়ি উপজেলার আলেক্ষ্যং ইউনিয়নের তুলা ঝিড়ি পাড়ায় পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন নও মুসলিম ওমর ফারুক। তিনি ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের একজন সদস্য ছিলেন। এরপর কয়েক বছর আগে ইসলাম ধর্মগ্রহণ করে তিনি। তুলাঝিড়িতে অস্থায়ী একটি মসজিদে ইমামতির দায়িত্ব পালন করতেন তিনি।

বক্তারা বলেন, শান্তিপূর্ণ পার্বত্য চট্টগ্রামে জেএসএস এর সন্ত্রাসীরা অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করছে। পাহাড়ের সন্ত্রাসপ্রবণ এলাকায় নতুন করে সেনা বাহিনীর ক্যাম্প স্থাপন করে সন্ত্রাসীদের লাগাম টেনে ধরতে হবে। অন্যথায় শান্ত পার্বত্য ভূমির মাঝে প্রায়শই পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা হত্যা-রাহাজানি করে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করছে। পাশাপাশি অচিরেই পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামজুড়ে সীমান্ত সড়ক নির্মাণ করে নিরাপত্তা বাহিনীর নিয়মিত টহলের মাধ্যমে সন্ত্রানীদের মুলোৎপাটন করারা জন্য বক্তরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

এ সময় উপজাতীয় মুসলিম কল্যান সংস্থার নেতারা সাংবাদিক সম্মেলনে প্রদত্ত বক্তব্যে ৬ দফা দাবী পেশ করেন। এর মধ্যে রয়েছে ১. পাহাড়ি সংগঠনসমুহ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা, ২. হত্যাকান্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা, ৩. নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান, ৪. দুর্গম এলাকায় সেনা, বিজিবি ও পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা, ৫. নও-মুসলিমদের নিরাপত্তা প্রদান ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান ও ৬. নও-মুসলিম ওমর ফারুক হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা।