তৌহিদুল আরব:
স্বাধীনতার ৫০ বছরেও এমন জনপদের সাক্ষী আমরা। এলাকা পরিচয় আর জনপ্রতিনিধিদের নাম মুখে নিতে পারিনা লজ্জায়! এই এলাকায় জন্মটাই পাপ! এই পাপের বোঝা মাথায় নিয়ে আমরা যুগের পর যুগ পার করে দিচ্ছি জনপ্রতিনিধিদের মিথ্যা আশ্বাসে। এই এলাকাযর মানুষ কত বড় নির্লজ্জ বেহায়া হলে তাদেরকে বিশ্বাস করতে পারে?
সময় পাল্টাচ্ছে, এবার উন্নয়নের কলা মুখ থেকে সরান, এসব ভিক্ষা না! ভিক্ষার জন্য হাত পাতছি না! অধিকার নিয়ে কথা বলছি। অভিযোগ আর অভিশাপ জমে গেছে অনেক, সামনের দিনে সমস্ত অভিযোগ আর অভিশাপ ঢেলে দিয়ে চুকিয়ে নিবো।
সেদিন শিশুরা পিঠে ব্যাগ পায়ে জুতো দিয়ে হাসতে হাসতে প্রতিষ্ঠানে যাবে। ছবি দেখেই মনে করবেন শুকনো বা আধা শুকনো ছোট্ট একটা নদীর ছবি। তবে বিশ্বাস করুন দেখতে নদীর মতো হলেও কিন্তু এটা নদী নয়!
এটা চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ডুমখালী ২নং ওয়ার্ডের প্রধান রাস্তা। রাস্তাটার কি অবস্থা তা সাধারণ মানুষেরা নিজের অনুভূতি দিয়ে প্রকাশ করতে না পারলেও এখানকার যাত্রীবাহী টমটম আর রিক্সার ড্রাইভারদের থেকে যদি জিজ্ঞেস করেন। তারা ঠিকই বলে দিবে রাস্তাটার অবস্থা। মোটরসাইকেলের কথা তো বলতে হবে না। যে একবার আসছে সে দ্বিতীয়বার আসবে না বলে শপথ করে ফেলবে যেনো ঐ শপথের জোরে হলেও আর না আসে এই রাস্তা দিয়ে।
এমনি অবস্থা আমাদের।

আমাদের রাস্তাটি ২০১৯ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় হতে ব্রিক সলিং হতে কার্পেটিং এর অনুমোদন দেয়া হয়। ইতিমধ্যে চকরিয়া বিটিআরসি বরাবর ২কোটি ৭২লক্ষ টাকা বাজেট দেয়া হয়েছে। ২০২১ সালে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ১০% কাজ সম্পন্ন হয়েছে। শুধু রাস্তার ব্রিক ইট গুলা তুলে কংক্রিটের গুড়ো আর বালির বদলে মাটি দেয়া হয়েছে। যার ফলে সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তায় হাটু পরিমাণ কাদা জমে যায়। তবে আর কতদিন থাকবো এই অবস্থায়?

ডিজিটাল বাংলাদেশ তো গড়ার কথা ৬৪ হাজার গ্রামকে নিয়েই। তাহলে সেখানে কি আমাদের গ্রামের নামটা নাই?

চকরিয়া-পেকুয়ার মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলমের কাছে ডুমখালী বাসীর একটাই আবেদন দ্রুত রাস্তার কার্পেটিং কাজ সমাপ্ত করার জন্য চকরিয়া বিটিআরসি বরাবর নির্ধারিত সময় বেঁধে দিলে আপনার নিকট চিরকৃতজ্ঞ থাকবো।