মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এডভোকেট ছালামত উল্লাহ রানা’র প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী মঙ্গলবার ২২ জুন। ২০২০ সালের এদিনে ৫৭ বছর বয়সে চট্রগ্রাম শহরের মেট্রোপলিটন হাসপাতালের আইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এডভোকেট ছালামত উল্লাহ রানা’র আদি নিবাস মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী এলাকার ফকিরা মুড়ায়। তাঁর পিতার নাম মরহুম হাজী নজর আলী। তিনি পিতা-মাতার দ্বিতীয় সন্তান। তিনি মহেশখালী উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক, কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক নির্বাহী সদস্য এবং সাবেক এপিপি ছিলেন। পেশার সুবিধার্থে কক্সবাজার শহরের পূর্ব টেকপাড়ায় এডভোকেট ছালামত উল্লাহ রানা বাড়ি করে সেখানে বসবাস করতেন। এডভোকেট ছালামত উল্লাহ রানা ১৯৯২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতিতে একজন নবীন আইনজীবী হিসাবে যোগদান করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি পবিত্র হজ্ব পালন ও অত্যন্ত ধার্মিক ছিলেন। তাঁর সহধর্মিণী রূপালী ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা হয়েও ধর্মীয়ভাবে নারীর পর্দার প্রশ্ন তোলায় স্বামী এডভোকেট ছালামত উল্লাহ রানা’র অনুরোধ মেনে তিনি সোনার হরিণ এর মতো এই চাকুরী থেকে ইস্তফা দেন।

এডভোকেট ছালামত উল্লাহ রানা ২ সন্তানের মধ্যে একমাত্র পুত্র সন্তান নাদিম জাওয়াদ আকিল ঢাকাস্থ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এলএলবি অনার্স চতুর্থ বর্ষে এবং একমাত্র কন্যা তাসনুভা ইফফাত কক্সবাজার সরকারি কলেজে এইসএসসি-তে অধ্যয়নরত।

মৃত্যুর পরদিন ২৩ জুন এডভোকেট ছালামত উল্লাহ রানা’র গ্রামের বাড়ি মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের ফকিরা ঘোনা জামে মসজিদ সংলগ্ন মাঠে ফজরের নামাজের পর জানাজা শেষে তাঁকে স্থানীয় কবরস্থানে পিতার কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।

এডভোকেট ছালামত উল্লাহ রানা’র সহধর্মিণীর বড় ভাই মো. সাহেদুজ্জামান সাহেদ জানান, করোনাজনিত পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে এডভোকেট ছালামত উল্লাহ রানা’র প্রথম মৃত্যু বার্ষিকীতে খতমে কোরআন, দোয়া মাহফিল, কবর জেয়ারতের কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে।