সিবিএন ডেস্ক:
জম্মু-কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী ২৪ জুন সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন। দিল্লিতে গুরুত্বপূর্ণ ওই বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু-কাশ্মীর সম্পর্কিত অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারে।

কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দাদের জন্য বিশেষ সুবিধা সম্বলিত ৩৭০ ধারা বাতিল করায় উদ্ভূত রাজনৈতিক অচলাবস্থা দূর করতে প্রধানমন্ত্রীর এটিই প্রথম বড় পদক্ষেপ গ্রহণ।

গণমাধ্যম সূত্রে প্রকাশ, জম্মু-কাশ্মীরে চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা ছাড়াও, কেন্দ্র সরকারশাসিত অঞ্চলকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। ওই বৈঠকে জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জম্মু-কাশ্মীরে ২০১৮ সাল থেকে নির্বাচন বন্ধ রয়েছে। সে সময়ে মেহেবুবা মুফতির দল পিডিপি এবং বিজেপি’র মধ্যে জোট ভেঙে গিয়েছিল। সম্প্রতি সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ডা. ফারুক আব্দুল্লাহর নেতৃত্বাধীন গুপকার গোষ্ঠী কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে নরম অবস্থানের ইঙ্গিত দিয়েছিল।

এরআগে, শুক্রবার (১৮ জুন) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন। এতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা, গোয়েন্দা ব্যুরোর (আইবি) পরিচালক অরবিন্দ কুমার, রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস (র) শাখার প্রধান সামন্ত কুমার গোয়েল, আধাসামরিক বাহিনী সিআরপিএফের মহাপরিচালক কুলদীপ সিং এবং জম্মু-কাশ্মীরের ডিজিপি দিলবাগ সিং উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকের আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। উভয় বৈঠকই জম্মু-কাশ্মীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৯ সালের আগস্টে জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া ৩৭০ ধারা বাতিল করাসহ রাজ্যটিকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল- জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখে বিভক্ত ছিল। ওই সিদ্ধান্তের আগে, রাজ্যের সাবেক তিন মুখ্যমন্ত্রী মেহেবুবা মুফতি, ডা. ফারুক আবদুল্লাহ এবং ওমর আবদুল্লাহসহ অনেক বড় বড় নেতাকে জম্মু-কাশ্মীরে গৃহবন্দী করা হয়েছিল। গ্রেফতার করা হয় বহু সাধারণ নেতা-কর্মীকে। শেষমেশ কয়েক মাস পরে সাবেক মুখ্যমন্ত্রীদের ধাপে ধাপে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।

জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও পিডিপি সভানেত্রী মেহেবুবা মুফতি বৈঠকের জন্য আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণের বিষয়টি নিশ্চিত করে এ নিয়ে রোববার তারা বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে মন্তব্য করেছেন। পিডিপি ছাড়াও সেখানকার আরও বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত বৈঠকে আমন্ত্রণ পেয়েছে বলে জানা গেছে।