বিশেষ প্রতিবেদক
কক্সবাজার পৌরসভার পেতাসওদাগর পাড়ার মৃত বশির আহমদের পুত্র কামাল উদ্দীনের জন্ম ১৯৮১ সালে। কিন্তু তার জন্মের এক বছর আগেই ১৯৮০ সালেই তাকে জমি লিখে দিয়েছিলেন তার পিতা! আসলে কি তা সম্ভব? সম্ভব না হলেও অবিশ্বাস্যভাবে এমন জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে! পিতার দান কবলা দেখিয়ে ৬০ শতক জমির ভুয়া কবলা দলিল তৈরি করে খতিয়ানও সৃজন করা হয়েছে। কামাল উদ্দীন, জামাল উদ্দীন ও জানে আলমের বিরুদ্ধে এমন জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন তার আত্মীয়-স্বজনেরা।

মৃত বশির আহমদের ওয়ারিশ হেলাল উদ্দীন গংয়ের অভিযোগ, ২০০৯ সালে বশির আহমদের মৃত্যু হয়। কিন্তু সম্পত্তি আত্মসাতের কুমানসে ২০১৩ ও ২০১৬ সালে কামাল উদ্দীন, জামাল উদ্দীন ও জানে আলম ৬৪২৯ নং দলিল দেখিয়ে পিতার ৬০ শতক জমি নিজেদের নামে গোপনে খতিয়ান সৃজন করেন নেন। তার মধ্যে রয়েছে ১১১৫০ ও ১৩৫২২ নং খতিয়ান। যার দাগ নং-৭২০০ ও ৭২০২। পরে জালিয়াতির বিষয়টি জানতে পারে অন্য ওয়ারিশরা। প্রকৃত ঘটনা জানার জন্য তারা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল তল্লাশী দেয়। তল্লাশিতে ধরা পড়ে ৬৪২৯ নংয়ের কোনো দলিল ঝিংলজা মৌজায় নেই। ৬৪২৯ নংয়ের দলিলের দাতা গ্রহীতা ঈদগাঁও এলাকার। এই জালিয়াতির ধরা পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

হেলাল উদ্দীন গংয়ের আরো অভিযোগ, সৃজিত ভুয়া দলিল ও খতিয়ান দিয়ে অন্য ওয়ারিশদের বঞ্চিত করার জন্য উঠে পড়ে লাগে কামাল উদ্দীন, জামাল উদ্দীন ও জানে আলম। এই ভুয়ার দলিল ও খতিয়ানের সৃজনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি‘‘ দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।