মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু:
শিক্ষা ও জমিদারি প্রথায় এগিয়ে রামু উপজেলার ২ নং গর্জনিয়া ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নে প্রায় ৪৫ হাজার মানুষের বসবাস। উখিয়া টেকনাফের সাবেক সংসদ শাহাজাহান চৌধুরীর নানার বাড়িও এই ইউনিয়নে। অপরদিকে রামু কক্সবাজারের বর্তমান সংসদ জননেতা আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমলও দাবি করেন এটা আমার এলাকা। অথচ এ ইউনিয়নের রাস্তা ঘাট দেখলে মনে হয় এখানে কোনো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নাই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘ ৮ কিলোমিটারের এই রাস্তাটি অবহেলিত হয়ে পড়ে যুগ যুগ ধরে, বিশেষ করে জুমছড়ি,তোয়াইঙ্গারকাটা, থিমছড়ি ও বড়বিল সহ এসব এলাকার বিভিন্ন স্থানে এ বর্ষা মৌসুমে গাড়ি চলাচল দূরের কথা পায়ে হেঁটে যাতায়াত করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। অপরদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের উপজেলা সদরে যোগাযোগের মাধ্যম এ রাস্তা দিয়ে। বর্তমানে এমন পরিস্থিতিতে যোগাযোগ অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় ৮ কিলোমিটার এ সড়কের পরিবর্তে বিকল্প সড়ক ঈদগড়,ঈদগাহ এবং রামু হয়ে ৬০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে আসতে হচ্ছে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায়। এ জন্য প্রতিজনকে গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত ৫ গুণ ভাড়া। গর্জনিয়া ইউনিয়নের, হাফিজ মৌলানা আমান উল্লাহ, মহিবুল্লাহ সহ অনেকে বলেন, কক্সবাজার জেলায় এমন অবহেলিত ইউনিয়ন আর আছে কিনা জানি না।
বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলম কোম্পানি বলেন, আমরা বাইশারীর মানুষ উপজেলা সদরে যাতায়াতে খুবই কষ্টে আছি। বাধ্য হয়ে প্রতি নিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় যাতায়াত করছি। সড়কটির বেহাল অবস্থা এজন্য টিক সময়ে উপজেলায় মিটিং এ উপস্থিত হতে পারছি না। কিছুদিন আগে নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর মহোদয়ের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময়কালে গর্জনিয়া বাইশারী সড়ক টির বেহাল অবস্থার কথা বললে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের খোঁজ খবর নেওয়ার পর দ্রুত কাজ হওয়ার আশ্বাস দেন।