সিবিএন ডেস্ক:
আমদানি করা বিটুমিনসহ একটি বিদেশি জাহাজ জব্দ করেছে সরকারের নৌ বাণিজ্য দফতর। চীনের পতাকাবাহী ওই জাহাজটির নাম ‘গোয়াং ঝু ওয়ান’।

জাহাজটি ১১ হাজার ২২০ টন বিটুমিন নিয়ে আরব আমিরাতের শারজাহর হামরিয়া সমুদ্রবন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আসে ২১ মে।
এর মধ্যে দুই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের বিটুমিন রয়েছে। কিন্তু বন্দরের ডলফিন জেটিতে ভেড়ার অনুমতি না পাওয়ায় বিটুমিনগুলো খালাস করা যায়নি। ফলে এর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান পিএইচপি গ্রুপের পক্ষ থেকে ২৪ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে জাহাজ মালিক ও সরবরাহকারীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বিভাগ মামলার শুনানি শেষে ৯ জুন জাহাজটি জব্দ করার নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার জাহাজটি জব্দ করে নৌ বাণিজ্য দফতর। এদিকে বিটুমিন আমদানি নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বাজেটের আগে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

এতে আমদানিকৃত বিটুমিন দেশি ল্যাবে পরীক্ষার পর মান যাচাই করেই বন্দর থেকে ছাড় করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। মানসনদ যাচাই করতে এখন এমনিতেই বাড়তি সময় লাগছে। যার কারণে বন্দরে আটকা পড়েছে প্রচুর বিটুমিন। আর্থিক ক্ষতি এড়াতেই পিএইচপি গ্রুপ উল্টো ক্ষতিপূরণ মামলার কৌশল নিয়েছে বলে জানিয়েছেন এক কাস্টমস কর্মকর্তা।

দফতরের প্রিন্সিপ্যাল অফিসার ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পিএইচপি গ্রুপ ব্যবসায়িক ক্ষতিপূরণ চেয়ে উচ্চ আদালতে মামলা করলে আদালত জাহাজটি জব্দ করার নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশের ভিত্তিতে আমরা জাহাজটি জব্দ করেছি। চট্টগ্রাম বন্দর, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীকে জাহাজটির তদারকি করতে বলা হয়। ’

জানা গেছে, চীনের পতাকাবাহী জাহাজটিতে দুই আমদানিকারক পিএইচপি গ্রুপ ও মেসার্স ইলিয়াছ ব্রাদার্স (এমইবি গ্রুপ)-এর ১১ হাজার ২২০ টন খোলা বিটুমিন রয়েছে। পিএইচপির এক কর্মকর্তা বলেন, জাহাজটির এজেন্ট ও সরবরাহকারীর অবহেলায় বিটুমিনগুলো জাহাজ থেকে সঠিক সময়ে নামানো যায়নি। শিপিং এজেন্ট কসকোল বাংলাদেশের প্রধান রিয়াজ উদ্দিন খান বলেন, ‘জাহাজটিতে দুই আমদানিকারকের পণ্য রয়েছে। তারা একসঙ্গে ডকুমেন্ট জমা দিয়ে বন্দর-কাস্টমস থেকে ছাড়পত্র না নিতে পারায় জাহাজটি সঠিক সময়ে জেটিতে ভিড়তে পারেনি। ’