ফেসবুক কর্ণার:
গ্রামে আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী ছিলেন মোঃ ঈসমাইল চাচা। তিনি প্রয়াত মোঃ শফি দাদার বড় ছেলে।
ঈদগাঁও আলমাছিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক, বিশিষ্ট ওয়ায়েজ ও ইছাখালী দাখিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মরহুম মৌলানা সুলতান আহমদ হোছাইনী তার শশুর।
তিনি বিগত দুইদশক আগে ইসলামাবাদ ইউনিয়নের হাসের দীঘিসহ সংলগ্ন জমি একাংশ ক্রয় করে সেখানে বসতি স্হাপন করেন।
উক্ত জমির কবলাদাতা ছিলেন ঈদগাঁও হাইস্কুলের সিনিয়র শিক্ষক মরহুম মমতাজ স্যার।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পার্শ্বস্হ মূল্যবান উক্ত জমি নিয়ে স্হানীয় একজনের সাথে সম্প্রতি বিরোধ সৃষ্টি হলে এ নিয়ে “সৃষ্ট নিউজে” ঈসমাইল চাচাকে তথাকথিত রোহিঙ্গা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাইতো দেখলাম অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত নিউজে।
অথচ আমাদের গ্রামের প্রতিবেশী হিসাবে আমি তাদের চিনি ও জানি। এলাকার সর্ববৃহৎ গোত্র “ফজর আলী বাপের গোষ্ঠী” হিসাবে তারা সুপরিচিত।
আর আমাদের গোত্র পরিচিত “মৌলবীর গোষ্ঠী” হিসাবে।
শতাধিক বছর ধরে আমাদের দুই গোত্রের যৌথ ব্যবস্হাপনায় পরিচালিত হয়ে আসছে ঐতিহ্যবাহী “পূর্ব ফরাজী পাড়া সমাজ কমিটি।”
নগরায়ন ও যান্ত্রিকতার এ যুগেও আবহমান গ্রাম বাংলার সোনালী ঐতিহ্য সমাজ ব্যবস্হাকে টিকিয়ে রেখেছি আমরা।
বাণিজ্যিক উপশহর ঈদগাঁও বাজারে রয়েছে ঈসমাইল চাচা ও তার জ্ঞাতিগোষ্ঠীর দালান-কোঠা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সমাজের বিভিন্নস্তরে তারা সুপ্রতিষ্ঠিত।
অথচ সাংবাদিক মশাইয়ের কলমের খোঁচায় সেই ঈসমাইলকেই আজ “রোহিঙ্গা” বানিয়ে দিলেন !!
জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে জেলা শহরে থিতু হয়েছি প্রায় দশককাল আগে থেকেই।
ঈসমাইল চাচার ফোন নাম্বার নেই। অনলাইনে নিউজ দেখার পর গ্রামে ফোন করে যা জানলাম, সুফী আক্বীদায় দীক্ষা নিয়ে নাকি আজকাল “মাইজভান্ডারী” নাম ধারন করেছেন।
জ্ঞাতি গোষ্ঠীর সাথে তেমন যোগাযোগ নেই। কেবলমাত্র ঈদ-কোরবানেই গ্রামে যান।
আর এ সুযোগে তাকে রোহিঙ্গা বানিয়ে দিলেন বিজ্ঞ সাংবাদিক মহোদয় !!
শিক্ষক, রাজনীতিবিদ, চাকরিজীবি, ব্যবসায়ী, প্রবাসী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবি, সাংবাদিক ও পেশাজীবি হওয়ার আগে আমাদের সবার মানুষ হওয়াই যে অতি প্রয়োজন।

Atikur Rahman Manik -এর ফেসবুক টাইমলাইন থেকে।