সিবিএন ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ঠেকাতে সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেনস স্টলটেনবার্গ।

বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ন্যাটোর সম্মেলন শুরুর আগে এ কথা বলেন জোট প্রধান। স্টলটেনবার্গ বলেন, চীনের বিরুদ্ধে ন্যাটোকে আরও শক্তিশালী নীতি ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

কানাডার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রোববার ন্যাটোর প্রধান বলেন, চীনের সামরিক খাতের বাজেট বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। দেশটির নৌবাহিনী বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিশালী। চীন ধীরে ধীরে সামরিক খাতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে, যা ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর ‘নিরাপত্তার জন্য হুমকি’।

স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘চীন আমাদের মূল্যবোধের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে না। আমরা দেখেছি, কীভাবে হংকংয়ে গণতান্ত্রিক বিক্ষোভের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে, পশ্চিম চীনে তারা কীভাবে উইঘুরদের মতো সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার চালায়, পাশাপাশি তারা কীভাবে তাদের জনসংখ্যা পর্যবেক্ষণের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে, এমনভাবে আমরা আগে কখনও দেখিনি।’

সুতরাং যখন চীনের প্রসঙ্গ আসে, এগুলোর কারণেই ন্যাটোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে একটি নীতি প্রণয়ন করা, নীতি আরও শক্তিশালী করা, যোগ করেন ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল।

এদিকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে চীনে আটক কানাডার দুই নাগরিকের মুক্তি দাবি করেছেন জেনস স্টলটেনবার্গ। তিনি বলেন, মাইকেল কোভরিগ ও মাইকেল স্পাভরকে আটক রাখার বিষয়টি ‘গ্রহণযোগ্য নয়’। চীনের এসব দমন নিপীড়ন নীতি ন্যাটোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ন্যাটোর প্রধান দাবি করেন, চীনকে এসব নিপীড়ন এখনই বন্ধ করতে হবে।

ন্যাটোর আগে চীনের বিরুদ্ধে একাট্টা হয়েছিল জি-৭। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের কর্নওয়ালে শেষ হওয়া সম্মেলনে চীনকে ঠেকাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে জোটটি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) বিকল্প আরেকটি প্ল্যাটফর্ম বাস্তবায়নের উদ্যোগ। যার মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোর টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করবে ধনী দেশগুলোর এই জোট।